ঢাকা: পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রেখে রিটেইল ফুটওয়্যার ব্যবসা খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য দুইটি ক্যাটাগরিতে রিটেইল এশিয়া অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪ পুরষ্কার জিতেছে দেশিয় ব্র্যান্ড এপেক্স ফুটওয়্যার লি.।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সিঙ্গাপুরের মারিনা বে স্যান্ডস এক্সপো অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ‘ফুটওয়্যার রিটেইলার অব দ্য ইয়ার- বাংলাদেশ’ এবং ‘সাস্টেইনেবিলিটি ইনিশিয়েটিভ অব দ্য ইয়ার- বাংলাদেশ’ এই দুই ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার জিতে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (১২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় এপেক্স।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্য রিটেইল এশিয়া অ্যাওয়ার্ডস সর্বদাই রিটেইল সেক্টরে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বাজারজাত করা এবং সার্বক্ষণিক মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করাকে সাধুবাদ জানায়। এ বছরও ১৯তম আসরে তারা রিটেইল শিল্পের স্বনামধন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে একত্রিত করে রিটেইল শিল্পের নিত্যনতুন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে এবং তাদের সফলতা উদযাপন করে।
রিটেইল এশিয়া অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪ এশিয়ার রিটেইল শিল্পে একটি জমকালো আয়োজন। যেখানে বিশ্বের সুপরিচিত বিভিন্ন রিটেইল ব্র্যান্ড যেমন সেভেন ইলেভেন, বার্কেনস্টক, সেন্ট্রাল গ্রুপ থাইল্যান্ড, চার্লস অ্যান্ড কিথ, ক্রক্স সিঙ্গাপুর পিটিই লি., বেঞ্চ, জিম থমসন, পুমা সাউথ ইস্ট এশিয়া পিটিই লি., সাকুর ব্রাদার্স, সিঙ্গটেল, স্কেচার্স হংকং লি., টয়স’আর’ইয়োর্স সিঙ্গাপুর পিটিই লি., ওয়াটসন সিঙ্গাপুর প্রভৃতি অংশ নেয়।
রিটেইল এশিয়া অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪ জিততে এপেক্সকে রিটেইল ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের কঠিন বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রোগ্রামটির বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন ডেভিড ই ইউ (পার্টনার, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, রিটেইল অ্যান্ড কনজিউমার প্রোডাক্ট, আর এস এম সিঙ্গাপুর), আনসন বেইলি (হেড অব কনজিউমার অ্যান্ড রিটেইল, এশিয়া প্যাসিফিক, কে পি এম জি চায়না), মাইকেল চেং (এশিয়া প্যাসিফিক, মেইনল্যান্ড চায়না এবং হংকং কনজিউমার মার্কেট লিডার, পি ডব্লিউ সি) অলিভিয়ার গারগেল (এশিয়া প্যাসিফিক ই ওয়াই- পার্থেনন কনজিউমার লিডার, ই ওয়াই) এবং হিরোমি ইয়ামাগুচি (রিসার্চ ম্যানেজার, ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনাল)।
উল্লেখ্য, এপেক্স ১৯৯৭ সালে রিটেইল ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড হিসেবে যাত্রা শুরু করে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশব্যাপী প্রায় ৪৮০টিরও বেশি দোকানে সম্প্রসারিত হয়েছে। এপেক্স মনে করে, পণ্যের ডিজাইন একটি ব্র্যান্ডের সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই এ বছর ঈদে তারা আড়াই হাজারের বেশি নতুন ডিজাইন এনেছে, যা তাদের ৯টি নিজস্ব ব্র্যান্ড- এপেক্স, ভেনচুরিনি, নিনো রসি, মুচি, ম্যাভেরিক, স্প্রিন্ট, ডক্টর মক, টুইঙ্কলার ও স্কুল স্মার্টে রয়েছে। এছাড়া নাইকি, এডিডাস, ক্লার্কস, এসিক্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এপেক্স তাদের রিটেইল যাত্রা এগিয়ে নিচ্ছে।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে এপেক্সের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগও পর্যালোচনা করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। বিশেষত ‘পিইটি টু প্রোডাক্ট’ প্রোগ্রামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যা প্লাস্টিক পণ্য পুনর্ব্যবহার করে নতুন জুতা উৎপাদন করে থাকে। কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে আনতে এপেক্স তাদের কাঁচামালগুলো সব ট্রেসেবল উৎস থেকেই নিয়ে আসে। এরসঙ্গে তারা নবায়নযোগ্য গ্রিন এনার্জি উৎপাদনেও তৎপর। পরিবেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই এপেক্স পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায় জুতা উৎপাদন করে থাকে।
এপেক্স ফুটওয়্যার লি. তাদের গ্রাহকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে, যাদের সমর্থন আর ভালোবাসা ছাড়া এই অর্জন সম্ভব হতো না। এপেক্স তাদের গ্রাহকদের সবসময় সর্বোচ্চ মানের পণ্য সরবরাহ করতে চির অঙ্গীকারবদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
এসআইএ