ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ডিজাইন চ্যালেঞ্জে আইইউবি শিক্ষার্থীদের রৌপ্য পদক

শিক্ষা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৪
যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ডিজাইন চ্যালেঞ্জে আইইউবি শিক্ষার্থীদের রৌপ্য পদক

ঢাকা: ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এর ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ট্রিপল-ই) বিভাগের তিন শিক্ষার্থী তাদের সৌরশক্তি চালিত গিয়ার পাম্প প্রকল্পের জন্য যুক্তরাজ্যের এফিশিয়েন্সি ফর অ্যাক্সেস ডিজাইন চ্যালেঞ্জ ২০২৩-২৪-এ রৌপ্য পদক জিতেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) যুক্তরাজ্য থেকে অনলাইনে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজক ছিল এফিশিয়েন্সি ফর অ্যাক্সেস কোয়ালিশন এবং ইঞ্জিনিয়ার্স উইদাউট বর্ডার্স ইউকে। এ প্রতিযোগিতায় আইইউবির এটিই প্রথম সাফল্য নয়। ট্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুটি দল ২০২২ এবং ২০২৩ সালে এ প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছিল।

রৌপ্য জয়ী দলের সদস্যরা হলেন সেলেস্টিন গোমেজ, সাঈদ আলম এবং সাবরিন ইসলাম। তাদের সৌরশক্তি চালিত গিয়ার পাম্পে প্রচলিত পাম্পের তুলনায় পানির প্রবাহ বেশি এবং বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংকট রয়েছে সেখানে সেচসহ বিভিন্ন কাজে এটি একটি টেকসই বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সেলেস্টিন গোমেজ বলেন, পানির সংকট একটি গুরুতর বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের সৌরশক্তি চালিত গিয়ার পাম্প সেচ এবং অন্যান্য কাজের জন্য একটি টেকসই সমাধান হতে পারে। এ স্বীকৃতি আমাদের আরও উৎসাহিত করবে। এখন আমাদের লক্ষ্য পরিবেশবান্ধব এ প্রকল্পটিকে আরও বড় আকারে বাস্তবায়ন করা।

এ প্রতিযোগিতায় আইইউবির ট্রিপল-ই বিভাগের মোট চারটি দল অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে তিনটি দল – রৌপ্যজয়ী দলটিসহ এবং আরও দুটি – ইউকে এইড এবং আইকিয়া ফাউন্ডেশন থেকে প্রোটোটাইপ তৈরি করার জন্য মোট ৪ হাজার ৩৫০ ডলার অনুদান পেয়েছিল।

চারটি প্রকল্পেরই তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন আইইউবির গ্রিন এনার্জি রিসার্চ সেন্টারে (জিইআরসি) পরিচালক এবং ট্রিপল ই বিভাগের অধ্যাপক ড. খসরু মোহাম্মদ সেলিম। এ প্রতিযোগিতার জন্য গত আট মাস ধরে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ, নির্দেশনা এবং তাদের কাজের মূল্যায়ন করেছেন ড. সেলিমের গবেষণা সহকারী এবং একই চ্যালেঞ্জের ২০২৩ সালের স্বর্ণ পদকজয়ী দলের সদস্য আইইউবি সাবেক শিক্ষার্থী সিয়াম ইবনে মাসুদ।

প্রফেসর ড. খসরু বলেন, আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নিয়ে যেভাবে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্প এবং এ প্রতিযোগিতায় সাফল্য আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী করে তোলে।

প্রতিযোগিতাটির মূল পৃষ্ঠপোষক নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক সংগঠন আইকেইএ ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন যান্ত্রিক উদ্ভাবন নিয়ে কাজ হয় এখানে। এ বছর চতুর্থবারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।