কর্মক্ষেত্রে স্থিতিশীল এবং ন্যায়সঙ্গত সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার, মালিক সংগঠন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন এবং শ্রমিক সংগঠন ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন (এনসিসিডব্লিউই) একটি যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করা হয়েছে।
“বাংলাদেশে উন্নত এবং সমন্বয়পূর্ণ জাতীয় শিল্প সম্পর্ক” শীর্ষক এই ঘোষণাপত্রের লক্ষ্য হচ্ছে শ্রমিক এবং মালিকদের মধ্যে সমন্বয়পূর্ণ সম্পর্ক বাস্তবায়নের পাশাপাশি একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা - যা টেকসই এবং ঘাতসহনশীল অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে চলমান শিল্প অস্থিরতা, যেখানে শ্রমিকরা বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে রাস্তায় নেমেছে, এবং বর্ধিত সময়ের জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত করেছে, সেই সময়কালে এই ঘোষণাটি এসেছে।
এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার তার সামাজিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতায় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক কমিটিগুলির সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মান, বিশেষ করে, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ কনভেনশন এবং সব স্তরে সামাজিক সংলাপের মাধ্যমে সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটছে।
আইএলও এর গভর্নেন্স, রাইটস, এবং ডায়লগের সহকারী মহাপরিচালক ম্যানুয়েলা টোমেই বলেন, উন্নত কর্মসংস্থানের শর্তসমূহ, উন্নত কর্ম পরিবেশ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পথ প্রশস্ত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক আলাপের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা শিল্প সম্পর্ক কটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্য অপরিহার্য।
বিইএফ সভাপতি আর্দাশির কবির সামাজিক সংলাপ প্রচারে মালিকদের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন ত্রিপক্ষীয়তার বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে নিবেদিত এবং কালেকটিভ বার্গেইনিং প্রক্রিয়া প্রচারে সরকারী প্রচেষ্টাকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করবে।
ঘোষণায় সামাজিক সংলাপ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং বিরোধ প্রতিরোধ ও সমাধানের অধিকতর কার্যকর ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
এমএম