ঢাকা: সাম্প্রতিক রাজধানী থেকে শুরু করে দূর-দূরান্তের শহরের প্রতিটি বিলবোর্ডে ভেসে উঠেছিল রহস্যময় রঙিন দাগ এবং কিছু অর্থবহ ইংরেজি শব্দ। কোনো ব্র্যান্ডের নাম, কোনো পরিচিত স্লোগান বা লোগো কিছুই ছিল না, এই সিম্পল ডিজাইন যেন পুরো দেশকে এক অদ্ভুত কৌতূহলের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছিল।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেটিজেনরা পর্যন্ত পড়ে গিয়েছিল সে গোলক ধাঁধায়। অনেক প্রশ্ন কিন্তু কোনো উত্তর যেন মিলছেই না। অবশেষে রহস্যের জট খুলল। যা ছিল আড়ালে, তা আজ দৃশ্যমান।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জানা গেল, এটি আসলে একটি জনপ্রিয় ব্যাংকের রিব্র্যান্ডিং প্রচারণার অংশ ছিল। আর সেই ব্যাংকটি আমাদের সবার সুপরিচিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। দেশের সব স্বনামধন্য বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক নতুন লোগো এবং ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি উন্মোচন করল।
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা ও সোশ্যাল মিডিয়ার বিজনেস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নিউজ মিডিয়ায় মার্কেডিয়াম, ফ্রন্ট পেজসহ বেশ কিছু মাধ্যমে প্রচার করে লোগোটি এবং তাদের নতুন প্রতিশ্রুতির খবর। জনপ্রিয় গণমাধ্যমগুলোর ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যানেল যেমন, ইনডিপেনডেন্ট, একাত্তর, আরটিভির পর্দায়ও চোখে পড়ে এমটিবির লোগো। নতুন লোগোটি এমটিবি ব্যাংকের মূল্যবোধ, গ্রাহককেন্দ্রিকতা এবং ভবিষ্যৎমুখী যাত্রাপথের নির্দেশনা দেয়।
গ্রাহকের নির্ভরতা ও বিশ্বাসের নতুন মেলবন্ধন তৈরি করেছে লোগোটি। রং থেকে শুরু করে টাইপোগ্রাফি পর্যন্ত প্রতিটি অংশ এমটিবি ব্যাংকের মূল্যবোধ এবং গ্রাহকদের কাছে তাদের সার্ভিস আরও সম্প্রসারণে অঙ্গীকার পরিলক্ষিত হয়। লোগোতে যে রংগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তা শক্তি এবং সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করে। লোগোতে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি উপাদান দৃশ্যমান করে বছরের পর বছর ধরে তাদের তৈরি সম্পর্কগুলোকে আরও দৃঢ় করতে প্রত্যয়ী।
এমটিবি ব্যাংকের প্রচেষ্টা এখন দেশের প্রতিটি ব্যক্তি, কমিউনিটি, ব্যবসায়িক সম্প্রদায় বা উদ্যোক্তা সবার পাশে থেকে দেশকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এমটিবি ব্যাংক বিশ্বাস করে প্রযুক্তি নির্ভর সমসাময়িক সহজ সমাধান জরুরি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এমটিবি ব্যাংক থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
এএটি