ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

বিকাশের সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে হয়ে গেল ‘শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
বিকাশের সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে হয়ে গেল ‘শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব’

ঢাকা: ‘বন্ধে মায়া লাগাইছে, দিওয়ানা বানাইছে’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘বসন্ত বাতাসে সইগো’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’, ‘তুমি বিনে আকুল পরান’- এ রকম অসংখ্য কালজয়ী গান ও এর স্রষ্টাকে শ্রদ্ধায় স্মরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব-২০২৫’। বাউল সম্রাটের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শাহ আবদুল করিম পরিষদ আয়োজিত এ উৎসবের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো সহযোগী ছিল দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

বাংলা লোকগানের এ অমর স্রষ্টার স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে কালনী নদীর তীরে উজানধল মাঠে আয়োজিত হয়ে আসছে এ উৎসব।  

গত শুক্রবার শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি ও বাউল সম্রাট পুত্র শাহ নুর জালালের সভাপতিত্বে এবারের উৎসবের উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.)সহ অন্যরা।  

এরপর সারা দেশ থেকে আসা লোক সঙ্গীতের শিল্পী ও ভক্ত-অনুরাগীরা বাউল সম্রাটের সৃষ্টিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতে গান-শ্রদ্ধা-স্মরণে মাতিয়ে রাখেন দুটি রাত। স্থানীয় তরুণ-বৃদ্ধ-নারীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের বাইরে থেকেও আসা ভক্ত-সুধীজনেরা অংশ হয়ে ওঠেন এ প্রাণের উৎসবের।  

উৎসবকে কেন্দ্র করে উজানধল মাঠে নানা পণ্যের পসরা নিয়ে এবারো জমে ওঠে বর্ণিল মেলা। আবহমান গ্রামীণ মেলার অন্যতম অংশ- মুড়ি মুড়কি ও মিষ্টির দোকান, খেলনা, গৃহস্থালি নানা পণ্যের ছোট ছোট স্টলে সেজে ওঠে পুরো উজানধলের মাঠ।  

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে এ উৎসব আয়োজনের সহযোগী বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিকাশ সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে সহজে, নিরাপদে আর্থিক সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে। এ সেবাগুলো দেওয়ার পাশাপাশি দেশের আবহমান সংস্কৃতির চর্চায়ও যেন আমরা ভূমিকা রাখতে পারি, সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এমন এক মহান ব্যক্তিত্বের স্মরণে আয়োজিত এ লোক উৎসবের সহযোগী হতে পেরে আমরা নিজেদের গর্বিতও মনে করছি।

বরাবরের মতো এবারো উৎসব আয়োজনে সহযোগিতার জন্য বিকাশ ও গ্রামবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানান শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি ও বাউল সম্রাট পুত্র শাহ নুর জালাল।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।