ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

পাঠাও-এর ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
পাঠাও-এর ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

ঢাকা: বাংলাদেশের জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও এ বছর তাদের অগ্রযাত্রার দশম বছরে পদার্পণ করছে। আর এ উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে পাঠাও-এর সঙ্গে তৈরি হওয়া বিভিন্ন গল্পগুলো নিয়ে এবারের অমর একুশে বইমেলায় ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি।

 

দশ বছরের পথচলায় পাঠাও-এর সঙ্গে অনেকের জীবনেই তৈরি হয়েছে দারুণ কিছু গল্প। কখনো ফুডম্যান কিংবা রেস্টুরেন্টকে কেন্দ্র করে, কখনো আবার একজন ব্যবসায়ী এবং একজন ডেলিভারি এজেন্টকে কেন্দ্র করে। এতসব গল্পের ভিড়েও থেকে যায় কিছু এগিয়ে যাওয়ার, ভিন্ন কিছু করার, সবার সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করার মতো গল্প। পাঠাও-এর সঙ্গে যারা কাজ করছেন, এ প্ল্যাটফর্ম থেকে তারাও প্রতিনিয়ত তৈরি করছেন দারুণ কিছু বলার মতো গল্প।

এ অগ্রযাত্রার অগ্রদূতদের গল্পগুলোকে মলাটবদ্ধ করে পাঠকদের হাতে তুলে দিতেই এবারের অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ নিয়ে এসেছে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি। দশ বছরের পথচলায় যেই পাঠাও ইউনিভার্স গড়ে উঠেছে, সেই অগ্রযাত্রার অগ্রদূতদের গল্পগুলো নিয়ে এবারের এ সংকলন।

‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে স্বনামধন্য প্রকাশনী সংস্থা স্টুডেন্ট ওয়েজে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।  

মোড়ক উন্মোচনের সময় সম্মানিত অতিথি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, আমাদের যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানটি হয়েছে, সেখানে করপোরেট হাউস হিসেবে পাঠাও-এর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। আমি অগ্রযাত্রার অগ্রদূত বইটি পড়ছিলাম। স্টোরিগুলো খুবই ভালো। আমি মনে করি পাঠাও সামনের বছরগুলোতে পাঠাও-এর সঙ্গে যুক্ত সবার যদি প্রতিদিনের ডায়েরি এন্ট্রি নিতে এনকারেজ করেন এবং সংগ্রহ করেন, তাহলে মনে হবে পাঠাও-এর প্রতিদিনের গল্পগুলোই লিপিবদ্ধ হচ্ছে।  

পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, পাঠাও এ বছর দশ বছরে পদার্পণ করছে। আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারা দেশব্যাপী ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছি।  পাঠাও-এর গল্প শুধু পাঠাও-এর গল্প বা শুধু সেবার গল্প না। পাঠাও-এর গল্প হলো আমাদের সঙ্গে যুক্ত সব মানুষ, যারা সেবা গ্রহণ করছে এবং সেইসঙ্গে সেবা দেওয়ার মাধ্যমে জীবনকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং জীবনের মানকে উন্নত করছে, তাদের কথা। অগ্রযাত্রার অগ্রদূত-এর গল্পগুলো হলো পাঠাও-এর সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত আছি, তাদের সবার গল্প।

একুশে বইমেলার স্টুডেন্ট ওয়েজ প্রকাশনীর ১০ নম্বর স্টল ছাড়াও পাঠাও শপ, বুকওর্ম, রকমারি, বাতিঘর, পিবিএসসহ বেশ কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি পাওয়া যাবে। এছাড়া দেশজুড়ে বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে এ বইটি।

দারুণ কিছু সত্য গল্পের সংকলন ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি পাঠাও-এর পক্ষ থেকে সবাইকে সংগ্রহ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩ লাখ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২ লাখ মার্চেন্ট ও ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।