যদি একটি পরিবারে চারজন বিবাহিত সন্তান থাকেন, তবে প্রথম রোজার দিন বাবা-মায়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেন তাদের সব সন্তান। দ্বিতীয় দিন সবাই মিলে চলে আসেন সবচেয়ে বড় সন্তানের বাড়িতে এবং তৃতীয় নিমন্ত্রণ থাকে মেজো সন্তনের বাড়িতে।
সৌদি আরবে ইফতারের একটি আবশ্যক খাবার খেজুর এবং পানীয় হিসেবে থাকে লাবাং (দুধ জাতীয় পানীয়)। এছাড়াও বিভিন্ন পদের খাবার, ফল, মিষ্টি, স্ন্যাকস্, কফি ইত্যাদি পরিবেশন করা হয়। ইফতারের সময় সৌদি আরবের কিছু কিছু পরিবার অনেক বেশি পরিমাণের খাবার রান্না করেন এবং তা নিকটবর্তী মসজিদে দান করেন। বলা হয়, রমজান মাসে মাগরিবের সময় সৌদির মসজিদগুলোতে গেলে কাউকে ক্ষুধার্থ অবস্থায় ফিরতে হয় না।
রমজান মাসে সৌদির কিছু কিছু পরিবার ঘরের পুরনো আসবাব বিক্রি করে বা দান করে নতুন আসবাব কেনেন।
দেশটির সবগুলো রেস্তোরাঁ রমজান মাসের সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। দিনের বেলা এসব রেস্তোরাঁয় অমুসলিম কিংবা অরোজাদারদেরও খাবার পরিবেশন করে না। দিনের বেলা সুপার মার্কেট, বইয়ের দোকান, ফার্মেসি ইত্যাদি খোলা থাকলেও আসরের ওয়াক্তের মধ্যে তা বন্ধ হয়ে যায়।
রমজানের প্রতিদিন দু’বার করে কামান দাগা হয় জেদ্দাসহ সৌদির কিছু কিছু এলাকায়। সেহেরি ও ইফতার ঘোষণার জন্য অনেকরকম প্রযুক্তি উদ্ভব হলেও প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা কামান দাগার এই ঐতিহ্য এখনও প্রচলিত।
সৌদি আরবের বেশিরভাগ স্থানীয় স্কুল রমজানে ছুটি থাকে। রোজাদারদের সুবিধার্থে কমিয়ে আনা হয় কর্মঘণ্টা। সবাই বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালন করেন সৃষ্টিকর্তার আদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
এনএইচটি/এএ