সব মিলিয়ে ইফতারের এ আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইথিকাল ইফতার’ অর্থাৎ নৈতিক ইফতার। কোনো রকম আমিষ ছাড়া তাদের এই আয়োজন বৈচিত্র্য এনে দিয়েছে ইফতারের চিরাচরিত ঐতিহ্যে।
ইথিকাল ইফতারের আয়োজক জুমানা মুন জানান, ইফতারে মাংস দিয়ে তৈরি খাবার পরিবেশন না করলে, তা অনেকসময় অবন্ধুসুলভ আচরণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু এ ধরনের ইফতারের ফলে রমজান মাসে মাংসের অপচয় হয়। সেইসঙ্গে প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য পরিবেশ দূষিত করে। তাই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সখের বসে এমন ইফতারের আয়োজন করিনি। আমাদের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ হলো, আমারা পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।
লন্ডনের ‘রুমিস কেভ’ নামের একটি মিলনায়তনে এ ইফতারের আয়োজন করা হয়। জানা যায়, ইফতারের জন্য পরিবেশিত সব খাবারই অর্গানিক উপায়ে সংগ্রহ করা হয়। তাছাড়া সেখানে কোরআনের কিছু বিশেষ বিশেষ আয়াত তেলাওয়াত করা হয়, যেখানে পরিবেশের গুরুত্বের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। এমনকি খেজুর খাওয়ার পর এর বিচিগুলোও সংরক্ষণ করা হয় পরবর্তী সময়ে রোপণের জন্য।
ইথিকাল ইফতারে অংশগ্রহণকারী সোহেইব এলনালা বলেন, সবুজ শাকসবজি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার, যা ইসলামের গুরুত্বকে তুলে ধরে। যদি মসজিদে মসজিদে এ ধরনের সবুজ ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়, তবে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে তা ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এবং পদক্ষেপটি আরও কার্যকর হবে।
ওই ইফতারে একজন খ্রিস্টান সরকারি আমলা আমন্ত্রিত জন পেরি বলেন, আমরা নিজেদের মনে করি সৃষ্টির সেরা জীব। তাই স্রষ্টার বাকি সৃষ্টিদের প্রতি আমাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে। তাই ইথিকাল ইফতারের এই চর্চাটি হতে পারে সব ধার্মীকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
একে/এনএইচটি