এর বিপরীত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। দেশটিতে রোজার সময়ে জনসমাগমস্থলে প্রকাশ্যে কিছু খেলে বা পান করলে শাস্তির বিধান আছে।
‘ওমানকে জানুন’ শিরোনামে ওমানের নিয়মাবলীর ধারাবাহিকতায় বিশেষজ্ঞরা দেশের কাজ এবং জীবিকার অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এতে রোজায় পানাহার বর্জনের আচার-আচরণের কথাও বলা হয়ে থাকে।
ওমানের শীর্ষ আইনি কার্যালয় ‘মোহাম্মদ ইব্রাহীম ল’ ফার্ম’-এর প্রতিনিধিরা দেশটিতে রমজান মাসের আচার-আচরণের বিধান তুলে ধরেছেন একটি নির্দেশনায়। ল’ ফার্মটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ইব্রাহীম আল জাদজালি বলেন, ওমানি দণ্ডবিধির ২৭৭নং ধারা অনুযায়ী রমজান মাসে মুসলমান ও অমুসলিম উভয়েই একই আচার-আচরণ অনুসরণ করতে বাধ্য। না হয় সবার জন্যই সাজা প্রযোজ্য।
তিনি বলেন, যারা রোজায় প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া করবেন, তাদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ দিন থেকে তিন মাসের কারাদণ্ড নির্ধারণ আছে দেশের আইনে। তবে জরিমানার বিষয়ে কোনো পরিমাণ নির্ধারণ করেনি আইন। সেটা প্রকাশ্যে খাওয়ার পরিস্থিতির ওপরই প্রযোজ্য হবে। কেননা এ অপরাধের একমাত্র আইনি শাস্তিই হলো কারাবাস।
ল’ ফার্মটির আরেক মুখপাত্র বলেন, রোজার নির্দিষ্ট সময়ে দেশের সব সার্বজনীন স্থানে বিশেষ করে জনবহুল বা গাড়িতে যদি কেউ কিছু খান এবং পান করেন, তাহলে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
টিএ/এইচএ/