এ প্রসঙ্গে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্মকর্তা কান্সু অ্যালকুর্ত বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যে, মহামান্য রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবো। অথচ তিনিই আমাদের কাছে চলে এলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা অভিবাসী হওয়ার কারণে রাজা বিচলিত নন। বরং আমাদের কমিউনিটি সেন্টারে তার আগমন, এ বিষয়ের গুরুত্ব বোঝায়।
কমিউনিটি সেন্টারে সমবেত মুসলিমরা তার পূর্বপরিকল্পিত আগমন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তরুণকর্মী নাদির আব্দুল মোমিন রাজার পাশাপাশি আসনে বসেছিলেন। তিনি রাজার এমন আগমনে বেশ মুগ্ধ হয়ে বলেন, প্রথমবারের মতো কথোপকথনের জন্য এটি সুন্দর বিষয় ছিল। আর এটিই উইলিয়াম আলেকজান্ডারের প্রথম ইফতার।
ইসলাম নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। ২০১০-১১ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী দেশটির মোট জনসংখ্যার ৪% লোক মুসলিম বলে জানা গেছে। আমস্টারডাম, রটারডাম, হেগ এবং আটচেত; প্রধান এই চার শহরেই অধিকাংশ লোকের বসবাস।
নেদারল্যান্ডসে ইসলামের ইতিহাস রচিত হয়েছিল ১৬ শতাব্দীতে। তখন মুষ্টিমেয় ওসমানি (অটোম্যান) ব্যবসায়ী বন্দর নগরীগুলোতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। এরপর ১৭ শতাব্দীর শুরুতে রাজধানী আমস্টারডামে প্রথম মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
-নেদারল্যান্ডস টাইমস অবলম্বনে হুসাইন মুহাম্মাদ জাওয়াদ
রমজানবিষয়ক যেকোনো লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘন্টা, মে ২৪, ২০১৯
এমএমইউ