ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

বীরদের গল্পে শেষ হলো ‘স্টোরিজ অব হিরো’ ক্যাম্পেইন

কর্পোরেট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
বীরদের গল্পে শেষ হলো ‘স্টোরিজ অব হিরো’ ক্যাম্পেইন

শেষ হচ্ছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। এর সঙ্গে শেষ হলো ‘স্টোরিজ অব হিরো’ ক্যাম্পেইন।

গত ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা বাস্তবের নায়কদের খোঁজে এ ক্যাম্পেইন শুরু করে অপো ও বুরো বাংলাদেশ। এই তালিকায় রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী উদ্যোক্তা, সংগ্রামী মা, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, ছাত্র-ছাত্রী, কৃষক শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের গল্পকথা। যারা নিজেদের জীবন-সংগ্রামের মাধ্যমে জাতীয় জীবনে অবদান রাখছেন নিরন্তর।

অপো গ্যালারির জন্য আয়োজিত ‘স্টোরিজ অব হিরোইক পিপল’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী এই দুই সময়ের বীরদের এক ফ্রেমে ধরে রাখতে যাচ্ছে প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। উদ্দেশ্য ছবির মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে নতুন প্রজন্মকে তাদের সংগ্রামের গল্প জানানো। কারণ অ্যালবামের একেকটি ছবি এক একটি যুদ্ধ জয়ের গল্প। ‘স্টোরিজ অব হিরো’ ক্যাম্পেইন শুরুর পর অনলাইন, অফলাইন ও ডিজিটাল প্রায় সব মাধ্যমে প্রচারণা চালায় অপো।

প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। প্রথম ধাপে নির্বাচিত তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা হলেন- জহির উদ্দিন জালাল, মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস ও লুবনা মরিয়ম। জহির উদ্দিন জালাল ও মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। শত্রুপক্ষকে আঘাতে আঘাতে পর্যদুস্ত করে ফেলেন। পাকিস্তানিদের অমানবিক নির্যাতনেও দমে যাননি তারা। সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীনতা উপহার দেন। পরবর্তীতে তাদের বীরত্ব গাথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সরাসরি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ না করলেও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন লুবনা মরিয়ম। এমনকি তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। সেই ঘটনার ৫০ বছর পরও আজ তিনি মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য সাংস্কৃতিক আন্দোলন অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে।

এবার আসবো বর্তমানের আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের দিকে। প্রকৃতপক্ষে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন থেকে উৎসাহিত হয়েই তারা বর্তমান বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানের তিন হিরো হলেন- দুলাল স্যার, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও সাজেদুল ইসলাম।

৬৫ বছর বয়সী দুলাল স্যার নিজ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ নির্মাণ করেছেন। অনির্বাণ বিদ্যালয়ে তিনি নিজেই  শিক্ষার্থীদের পড়ান। আর ৭০ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রাম্য ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায়। তিনি একাত্তরে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত মানবসেবা করে যাচ্ছেন। দরিদ্র অসহায় মানুষকে দিচ্ছেন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা।

অন্যদিকে সাজেদুল ইসলাম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রেখেছেন। তিনি নিজে রক্ত দেন ও অন্যদের রক্ত দিতে উৎসাহিত করেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি গোপালগঞ্জ বন্ধু মহলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে মুমূর্ষু রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে সর্বমহলে প্রশংসা কুড়ান।

অপো জানায়, এসব বাস্তবের বীরদের গল্প ভার্চ্যুয়াল অনলাইন আর্ট কালেকশন অপো গ্যালারিতে সংরক্ষণ করা হবে। আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি তাদের সম্মানিত করবে অপো ও বুরো বাংলাদেশ। আর যাদের ক্যামেরায় (রুবাবাতুল জান্নাত, সীমান্ত মণ্ডল ও নিপা বেপারী) তিনটি গল্প ওঠে এসেছে তাদের সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন রেনো ৬ ও আইওটি ডিভাইস দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।