ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

দায়িত্বশীল ডিজিটাল অনুশীলন প্রচারের ওপর জাতীয় সেমিনার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
দায়িত্বশীল ডিজিটাল অনুশীলন প্রচারের ওপর জাতীয় সেমিনার

তরুণদের বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবক ও কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা, নীতি এবং আইন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দায়িত্বশীল ডিজিটাল অনুশীলন প্রচারের উপর জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ন্যাশনাল সেমিনার অন প্রোমোটিং রেসপন্সিবল ডিজিটাল প্রাক্টিস’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

 

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য তখনই সম্ভব হবে যদি আমাদের দেশের ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সর্বোত্তম ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হন। আজ যেমন আমরা জানতে পেরেছি যে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল জগতের জন্য প্রস্তুত করার সর্বোত্তম উপায় হল তাদের এ বিষয়ে যথাযথভাবে শিক্ষিত করা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ডিজিটাল নাগরিকত্ব এবং অনলাইনে স্বাধীন মতপ্রকাশের মত সময়োপযোগী এবং তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এ জাতীয় সেমিনার আয়োজনের জন্য আমি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম এবং ডিনেটের প্রশংসা করি।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি এফআরডিসি প্রকল্প যে সব উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছে যা আজ এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো বাংলাদেশের যুবকদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক এবং কেবল তা শুধু জাতীয়ভাবে নয়, বিস্তৃত বিশ্ব মঞ্চেও এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ডিনেটের নির্বাহী পরিচালক এম শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের বিদ্বেষপূর্ণ এবং ভুল তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তরুণরা তাদের বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করে বিবেকবান নাগরিক হোক; যা সমাজের উন্নয়নে সহায়ক হবে।

এফআরডিসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং ডিনেটের যুগ্ম পরিচালক আসিফ আহমেদ তন্ময় বলেন, ‘আজকের সেমিনারের মাধ্যমে, আমি আশা করি ডিজিটাল স্পেসে দায়িত্বশীল ও আইনানুগভাবে বিচরণ করার গুরুত্ব সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করার মাধ্যমে আমরা সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছি।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিজ এক্সেলেন্সি চার্লস হোয়াইটলি, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক, আইনজীবী ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

ডিনেট ‘ফোস্টার রেসপন্সিবল ডিজিটাল সিটিজেনশিপ টু প্রোমোট ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) সহ-অর্থায়ন করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল- তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল দুনিয়ায় ইতিবাচক আচরণের সংস্কৃতিকে প্রচার করে অনলাইনে স্বাধীনভাবে এবং নিরাপদে নিজেদের প্রকাশ করতে উৎসাহিত করা।

প্রকল্পের অধীনে, ডিনেট ৫টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে সংযুক্ত করে ঢাকা ও রাজশাহীতে ৫,০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। তিন বছর ব্যাপী প্রকল্পটি অনলাইন লার্নিং পোর্টাল (www.digitalcitizenbd.com), সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে ৫০ হাজারেরও বেশি ডিজিটাল নাগরিককে সচেতন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।