ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আদালত

‘বিনা বিচারে’ ১৭ বছর কারাগারে থাকা শিপনের জামিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
‘বিনা বিচারে’ ১৭ বছর কারাগারে থাকা শিপনের জামিন

বিনা বিচারে ১৭ বছর কারাগারে থাকা শিপনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে তার মামলার নিষ্পত্তিরও আদেশ দেন আদালত।

ঢাকা: ‘বিনা বিচারে’ ১৭ বছর ধরে কারাগারে থাকা রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা মো. শিপনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।  

হাইকোর্ট হাজিরের পর মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিপনকে জামিন দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

দুই মাসের মধ্যে তার মামলার নিষ্পত্তিরও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে শিপনকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। প্রতিবেদনটি গত ৩০ অক্টোবর আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে। এরপর শিপনকে ০৮ নভেম্বর হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে তাকে মঙ্গলবার হাজির করা হয়।

আদালতে শিপনের পক্ষে শুনানি করেন কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম জহিরুল হক।
 
পরে কুমার দেবুল দে বলেন, আদালত আদেশে বলেছেন, ৬০ দিনের মধ্যে এ মামলার বিচার শেষ করতে হবে। সেই পর্যন্ত শিপন জামিনে থাকবেন। যদি বিচার শেষ করতে না পারেন, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
 
এছাড়াও জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শিপনের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকলে জেলা ম্যজিস্ট্রেটের কাছে পুর্নবাসনের জন্য একটি আবেদন করতে বলা হয়েছে।      

হাইকোর্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে দুই মহল্লার মধ্যে মারামারিতে একজন খুন হন। এ ঘটনায় মো. জাবেদ বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলার দুই নম্বর আসামি মো. শিপন। এফআইআরে তার বাবার নাম ছিলো অজ্ঞাত। পরে  চার্জশিটে তার বাবার নাম মো. রফিক দেওয়া হয়। ঠিকানা ৫৯, গোয়ালঘটা লেন, সূত্রাপুর বলে উল্লেখ করা হয়।

২০০০ সালের ০৭ নভেম্বর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ তে ছিলেন শিপন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
ইএস/ এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।