ঢাকা: সাঁওতালদের উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা, হামলা, লুটপাট এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সরকারকে দেওয়া আইনি নোটিশের জবাব না পাওয়ায় রিট করা হয়েছে।
হামলায় আহত দ্বিজেন টুডোর স্ত্রী অলিভিয়া হেমভ্রম ও গণেশ মুরমোর স্ত্রী রুমিলা কিসকুর পক্ষে সোমবার (২১ নভেম্বর) এ রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
রিট আবেদনে সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি ও হত্যা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে রুল জারি আরজি জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- সে বিষয়েও রুলের আবেদন করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, গত ০৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকেই।
এরপর আহত দুই সাঁওতালের স্ত্রী গত ১৫ নভেম্বর সরকারকে নোটিশ পাঠান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ নোটিশের জবাব না দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়।
নোটিশে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিল্প সচিব, পুলিশের মহাপরির্শক, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং মহিমাগঞ্জ সুগার মিলের ম্যানেজারকে বিবাদী করা হয়।
কিন্তু এ নোটিশের জবাব পাওয়া যায়নি।
এর আগে গ্রেফতার হওয়া তিন সাঁওতালকে হাসপাতালে হাতকড়া লাগিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এমন খবরে হাইকোর্টে একটি রিট করেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৪ নভেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাঁওতালদের হাতকড়া খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে অবশ্য তাদের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও গত ১৬ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থা সাঁওতালদের ঘটনায় রিট করেন।
পরদিন ১৭ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের রোপণ করা ধান কাটার সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। অথবা চিনিকল কর্তৃপক্ষসহ বিবাদীরা ধান কেটে সাঁওতালদের বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
ইএস/এএসআর