ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আদালত

দারুল ইহসান বন্ধের রায় বহাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
দারুল ইহসান বন্ধের রায় বহাল

ঢাকা: বেসরকারি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ফলে দারুল ইহসানের কার্যক্রম বন্ধে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইলো।
 
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।


 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
 
তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে তারা ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের মালিকানা নিয়েও দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাদের সার্টিফিকেটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বার কাউন্সিলের প্রশ্ন ছিলো। এখন আজকের রায় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও একটি বার্তা। শিক্ষাকে পণ্য হিসেবে আর কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না।  
 
মালিকানার দ্বন্দ্ব, বার কাউন্সিলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে দারুল ইহসানের পক্ষে-বিপক্ষে ১২টি রিট করা হয়। এসব রিটের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট দারুল ইহসান বন্ধের রায় দেন। পাশাপাশি ট্রাস্টিদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছরের এলএলবি ডিগ্রি চার বছর করা এবং বার কাউন্সিলের ছাড়পত্র নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে ভর্তির আদেশ দেন।

রায়ে আদালত বলেন, আইনের দৃষ্টিতে এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয়। সুতরাং, এটা ডেমোলিশ (বন্ধ) করতে হবে।

এ রায়ের বিরুদ্ধে দারুল ইহসানসহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিভ টু আপিল করেন। বুধবার দারুল ইহসানের লিভ টু আপিল খারিজ করে অন্যদের আবেদনের নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
 
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন এম আমীর উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও জহিরুল হক। ইউজিসি’র পক্ষে শুনানি করেন এবিএম বায়েজীদ।
 
হাইকোর্টের রায়ের পরে গত বছরের ২৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩৫টি ক্যাম্পাসের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।
 
পরদিন ২৭ জুলাই এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বন্ধ ঘোষণা করা বেসরকারি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করতে পারবেন। এজন্য সরকারের পক্ষে সহযোগিতা করার কথাও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

ওইদিন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নাহিদ বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘন করে অসংখ্য আউটার ক্যাম্পাস খুলেছে, নানা ধরনের সার্টিফিকেট ব্যবসা করছিল। আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম, তারা আবার আদালতের স্টে অর্ডার নিয়ে খুলেছিল। হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, জরিমানা করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর কেউ চালু করতে পারবেন না’।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।