ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

তিন খুনে তিন খুনির ফাঁসি বহাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
তিন খুনে তিন খুনির ফাঁসি বহাল

ঢাকা: রাজশাহীতে সম্পত্তির লোভে শ্যালক এবং নরসিংদীতে শিবপুরে বখাটেকে বাধা দেওয়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় তিনজনের ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। রোববার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল রাজশাহীর মোহনপুরের কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র অলিকে (০৮) অপহরণের পর হত্যা করা হয়।

অলির ভগ্নিপতি সাহেব আলী এবং তার সহযোগী রাসেল প্রথমে অলিকে স্কুল থেকে সাইকেলে করে নিয়ে আসেন।

এরপর তাকে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে যান। পরে রাত দুইটায় কয়েকজনে মিলে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে শ্বাসরোধ করে অলিকে হত্যার পর তার মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখে।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল অলির ভগ্নিপতি সাহেব আলী ও অলির খালাতো বোনোর স্বামী মো. মুকুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মো. রাসেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। পরে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাহেব আলী ও মুকুলের দণ্ড বহাল রেখে রাসেলের যাবজ্জীবন দণ্ড কমিয়ে ১৪ বছর করা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন এএফএম মেজবাহউদ্দিন ও এসএম মুবিন।
 
নরসিংদী
নরসিংদীর শিবপুরের শিক্ষার্থী ইতিয়াজ বেগম ইতিকে (১৭) প্রায় উত্যক্ত করতেন একই এলাকার বখাটে কিরণ মিয়া। সর্বশেষ প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে কিরণ মিয়া ২০০২ সালের ১৯ আগস্ট রাতে তার দলবলসহ জোরবপূর্বক ইতিকে তুলে নিতে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এতে বাধা দিলে ইতির ভাবী রুবি বেগম ও আত্মীয় মো.ফারুককে কুপিয়ে হত্যা করে কিরণ ও তার দলবল।

এ ঘটনায় ২০০২ সালের ২২ আগস্ট রুবি বেগমের স্বামী বাদী হয়ে শিবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় ২০১১ সালের ২৮ জুন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ একেএম আবুল কাসেম আসামি কিরণ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও তার সহযোগী জহিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

পরে আসামি কিরণ মিয়ার ডেথ রেফারেন্স এবং জহিরের জেল আপিলের ওপর বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রোববার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কিরণ মিয়ার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে জহিরকে খালাস দেওয়া হয়। তবে আসামি কিরণ মিয়া পলাতক রয়েছে।

আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নিতাই গোপাল দেবনাথ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বজলুর রশিদ ও দেলোয়ারা বেগম বেলা।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
ইএস/এসআরএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।