কমিশন গঠন না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে আদালত বলেন, আদালতের আদেশের পর কেবল চিঠি চালাচালিই হয়েছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বুধবার (২ আগস্ট) কমিশন গঠনে আরও সময় চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ান বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদেশ প্রদানের সময় আদালত বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি আদেশ হয়েছে। কিন্তু ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেও কমিশন গঠন হয়নি। এখনো চিঠি চালাচালি শেষ হয়নি। লেজিসলেটিং উইংকে মে মাসে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। এরপরও তাদেরকে দুইবার রিমাইন্ডার দিতে হলো কেন? উনারা কি করেন আমরা জানি না। আমরা যে আদেশ দিয়েছি সেটার বাস্তবায়ন চাই। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হলো। এর মধ্যে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা)’ অনুসারে তদন্ত কমিটি বা কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং দোষীদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না- তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০ মার্চ রুলের জবাব ও প্রতিবেদন দিতে আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে ০৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেন হাইকোর্ট।
পরবর্তীতে কয়েকদফা সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সর্বশেষ গত মাসেও সময় বাড়িয়েছিলেন আদালত।
সর্বশেষ রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ফের সময় চেয়ে আবেদন করেন।
দৈনিক ইনকিলাবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা উল্লেখ করে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
*পদ্মা সেতু: তদন্ত কমিশন গঠন প্রক্রিয়াধীন
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
ইএস/আরআই