ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আদালত

গাজীপুরে কলেজছাত্র সোহাগ হত্যায় ৯ জনের ফাঁসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
গাজীপুরে কলেজছাত্র সোহাগ হত্যায় ৯ জনের ফাঁসি দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি- ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: গাজীপুরে কলেজছাত্র শাহাদত হোসেন সোহাগ হত্যার দায়ে ৯ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়াও অন্য আরেকটি ধারায় আসামি প্রত্যেককে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা এবং আরও একটি ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।

সোহাগ গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০১০ সালে খুন হন তিনি।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নিয়ামত সড়ক এলাকার শামসুল হকের ছেলে সেলিম ও আব্দুল সোবাহানের ছেলে আসাদুল ইসলাম, উত্তর ছায়াবীথি এলাকার নাজমুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম জাকির হোসেন ওরফে জন্টু, বিলাশপুর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে জুয়েল, দক্ষিণ ছায়াবীথি এলাকার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম প্রিতম ওরফে প্রিতু ওরফে ইতু, রথখোলা এলাকার সিদ্দিকের ছেলে আরিফ, সামন্তপুর এলাকার লেহাজ উদ্দিনের ছেলে মো. হানিফ, উত্তর বিলাশপুর এলাকার মৃত আইয়ুর আলীর ছেলে রিপন আহমেদ জুয়েল এবং শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার বাঘেরভিটা এলাকার বাক্কা মিয়ার ছেলে বাক্কা সুমন।  

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি সোহাগের বন্ধু বিহন কায়সার ফোন করে তাকে জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে আসতে বলে। সোহগ তার বন্ধু নাহিদকে সঙ্গে নিয়ে ওই মাঠে গিয়ে দেখেন বিহন কায়সার, তার স্ত্রী আখি, হানিফসহ অন্য সামিদের দেখতে পায়। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা ছুরি ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প নিয়ে সোহাগ ও নাহিদের ওপর হামলা চালায়।

আসামিরা ছুরি দিয়ে সোহাগকে আঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে রিকশাযোগে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবারও হামলা ও ছুরিকাঘাত করে। পরে সোহাগকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সেসময় তার বাবা আবুল হাশেম সুফি বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গাজীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ওই মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে বুধবার আদালত এ রায় দেন।

আসামিদের মধ্যে সেলিম, হানিফ, জুয়েল ও আসাদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। রায় ঘোষণার সময় বাকি পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলো বলেও জানান পুলিশ পরিদর্শক রবিউল ইসলাম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭/অপডিট সময়: ১৫০০ ঘণ্টা     
আরএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।