এ ঘটনায় বুধবার কুমিল্লার সিভিল সার্জন, ডাক্তারসহ ৭ জন হাজিরের পর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তবে কুমিল্লার সিভিল সার্জন এবং মেডিকেল কলেজের পরিচালককে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ৫ ডাক্তার ১১ এপ্রিল ফের হাজির হতে বলেছেন আদালত।
বুধবার বিবাদীদের পক্ষে আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু আদালতে ওই ঘটনায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের করা প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন। এরপর আদালত বলেন,যেহেতু এ প্রতিবেদনটি তিনজনের করা। সেহেতু আমরা চাচ্ছি বাইরে কাউকে দিয়ে করা একটি তদন্ত প্রতিবেদন আসুক।
এরপর আদালত দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।
এর আগে ২৫ মার্চ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে এক প্রসূতির অস্ত্রোপচারের সময় গর্ভে থাকা সন্তানকে দুইখণ্ড করার ঘটনায় সিভিল সার্জন, ডাক্তারসহ সাতজনকে তলব করেন হাইকোর্ট।
ওই আদেশ অনুসারে বুধবার আদালতে হাজির হন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, কুমিল্লার সিভিল সার্জন, গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. করুনা রানী কর্মকার, ডা. নাসরিন আক্তার পপি, ডা. জানিবুল হক, ডা. দিলরুবা শারমিন ও ডা. আয়েশা আফরোজ।
২৫ মার্চ কয়েকটি সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ফারহানা ইসলাম খান, আনিসুল হাসান ও সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।
দৈনিক আমাদের সময়ে ‘সিজারকালে ডাক্তার দুইখণ্ড করলেন নবজাতককে’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, কুমিল্লায় এবার প্রসূতির পেটে নবজাতকের মাথা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই প্রসূতির জরায়ু কেটে অপারেশন করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জুলেখা বেগম নামের ওই প্রসূতি গত এক সপ্তাহ ধরে সন্তান ও শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারিয়ে হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
ইএস/এসএইচ