বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বিকেলে শেরপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ নূর আসামির উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শ্যামল নকলা উপজেলার বাছুর আগলা গ্রামের মৃত জয়কান্ত দাসের ছেলে।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অরুণ কুমার সিংহ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, ২০১২ সালের ৯ আগস্ট রাত ৩টার দিকে শ্যামল চন্দ্র দাস ও তার বাবা জয়কান্ত দাস শেরপুর শহরের শীতলপুর এলাকায় মনজিত কুমার সাহার (মনো) ভাড়া করা ধানের খোলায় নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই সময় বেতনের চার হাজার টাকা নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে ছেলে শ্যামল তার বাবা জয়কান্তের গলায় দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। ঘটনার পরদিন সকালে ওই ধানের খোলা থেকে জয়কান্ত দাসের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর নিহত জয়কান্ত দাসের অপর ছেলে সুভাষ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে তার ভাই শ্যামল চন্দ্র দাসকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসামি শ্যামলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর থেকে শ্যামল জেলা কারাগারে আটক রয়েছেস।
২০১৫ সালের ১৪ মার্চ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন আসামি শ্যামল চন্দ্র দাসকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা শেষে আদালত এ রায় দেন বলেও জানান পিপি অরুণ কুমার সিংহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
জিপি