বুধবার (১০ অক্টোবর) এ মামলার রায়ে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং বাকি ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
রায়ের পর সাংবাদিকদের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বিএনপির যেসব নেতাদের আসামি করা হয়েছে তারা কেউ এ হামলায় জড়িত নয়।
তিনি আরো বলেন, মুফতি হান্নান রিমান্ডে যে জবানবন্দি দিয়েছেন সে জবানবন্দি তিনি প্রত্যাহার করে বলেছেন,তারেক রহমান বা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তার কোনো দিন দেখাই হয়নি। অথচ আজকে অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আবদুস সালাম পিন্টুসহ বিএপির বহু নেতাকে এ মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির এ আইনজীবী বলেন, তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে ফিরে আসবেন তখন আমরা অবশ্যই এ মামলায় আপিল করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করেছিলাম এ মামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতারা খালাস পাবেন। আপনারা মনে রাখবেন, এ মামলায় বিএনপির আমলে যে চার্জশিট দিয়ে তদন্ত করেছে সেই তদন্তের ভিত্তিতে মুফতি হান্নান এবং অন্যান্যদের গ্রেফতার করেছে। সেই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলার সাক্ষী হয়েছে। তারেক রহমান কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন, গোপন বৈঠক করেছেন এমন কোনো সাক্ষী নাই। অথচ তাকে আজকে অন্যায়ভাবে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু, হারিস চৌধুরীসহ আমাদের তারেক রহমান কোনো অন্যায় করে নাই। তারেক রহমান দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য, স্বাধীনভাবে দেশ পরিচালনা করার জন্য, আইনের শাসনের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন এবং আরও করে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এপি/এসএইচ