সোমবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত এই রায় দেন।
মামলার অপর চারজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।
খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- দন্ডিত মিজানুরের বাবা এরফান আলী, মা সাজেনুর বেগম, ভাই সাইদুর রহমান ও প্রতিবেশী ফেরদৌসি বেগম।
২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ি এলাকায় যৌতুকের দাবিতে মিজানুর তার স্ত্রী সালমা আক্তারকে (২০) ঘরের সামনে পেট্র্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়।
ঘটনার প্রায় পাঁচমাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালমার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহত সালমার বড় ভাই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে গুইমারা থানায় মামলা করেন। ১ জুলাই পুলিশ সালমার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবরসহ পাঁচজনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন রাষ্ট্রপক্ষ ছয়জনের স্বাক্ষ্য শেষে প্রায় চার বছরের মাথায় আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত রায়ের পর্যালোচনায় বলেন, ২০ বছরের একজন তরুণী বুক ভরা স্বপ্ন ও আশা নিয়ে স্বামীর বাড়িতে সংসার করতে গিয়ে যৌতুক নামক সামাজিক ব্যধির শিকার হয়ে পাঁচমাস অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়েছেন। সালমা সীমাহীন শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করে অকালে মৃত্যুবরণ করেন।
আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১(ক)/ ৩০ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় এই রায় ঘোষণা করেন। এবং একই ধারা অন্য চার আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এদিকে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহত সালমার ভাই নুরুজ্জামান বলেন, ‘এই রায়ে আমরা খুশি। আমার বোনের আত্মা এখন শান্তি পাইবো’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এডি/এএটি