বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ জি এম আল মাসুদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দণ্ডাদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছাবেদ উল্লাহ পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্ধুর গ্রামের মৃত মুসলিম মিয়ার ছেলে।
আদালতের পেশকার মো. বিল্লাল হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে ২০০৩ সালের ২৭ জুন রাতে ছাবেদ উল্লাহ ছুরিকাঘাতে তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে হত্যা করেন। এসময় ছেলের বউকে রক্ষা করতে গেলে মা জহুরা খাতুনকেও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তিনি। ঘটনার পর আশপাশের লোকজন ঘাতক ছাবেদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে আসামির ছোট ভাই আসাদ মিয়া বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তৎকালীন পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান একই বছরের ২২ ডিসেম্বর আসামি ছাবেদ উল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত এ রায় দেন।
মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট যগেশ্বর রায় চৌধুরী। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট লুৎফর রাশিদ রানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
জিপি