বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা মামলার প্রধান আসামির অনুপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফারুক ওই উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কালডোয়ার গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিয়ের কয়েক মাসের পার হতে না হতেই পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ফারুক তার স্ত্রী লাভলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ওই রাতেই মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালায়। পরদিন সকালে খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর বাবা জয়নাল আবেদীন পুলিশ নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ২ সেপ্টেম্বর মেয়ের জামাই ফারুক ও তার মা মাজেদা বেগমসহ মোট পাঁচ জনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই আসামি ফারুক মিয়া ও তার মা মাজেদার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে। বিচারক নয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি ফারুকের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর আসামি মাজেদা বেগমের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
জিপি