সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জনাকীর্ণ আদালতে পলাতক আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা দেন কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান।
দণ্ডপ্রাপ্ত রকিবুল উপজেলার দৌলতখালী গ্রামের খালেক সরদারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ০১ জানুয়ারি সকালে দৌলতপুর বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যাচ্ছিলো। পরে স্কুলের কাছাকাছি পৌঁছালে তাকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আসামি রাকিবুলসহ তার দুই সহযোগী। এ ঘটনায় ওই মেয়ের বড় ভাই বাদী হয়ে একই বছরের ২৫ জানুয়ারি দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অপরহণ ও ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন দুলাল বাংলানিউজকে জানান, আসামি রকিবুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ গঠন করে দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি করেন আদালত।
দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুইটি ধারায় যথাক্রমে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা এবং ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। উভয়দণ্ড একযোগে প্রযোজ্য হবে। আসামি জামিনে থেকে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
এসআরএস