বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. ছালাম খান এ দণ্ডাদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার পশ্চিম কোয়ারপুর গ্রামের জলিল খলিফার ছেলে ফারুক খলিফার সঙ্গে একই গ্রামের আবুল হোসেন খানের মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়।
এ ঘটনার পরদিন ২৭ ডিসেম্বর শেফালীর বাবা আবুল হোসেন খান বাদী হয়ে মেয়ের জামাই ফারুক খলিফা, তার বাবা জলিল খলিফা ও মা ফুলমতি বেগমকে আসামি করে পালং মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় ১১ মাস চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শেফালী মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
দীর্ঘ সাত বছর মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর বুধবার মামলার রায় দেন বিচারক। এ রায়ে মামলার ১ নম্বর আসামি ফারুকে ফাঁসি ও তার বাবা জলিল ও মা ফুলমতিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মির্জা হজরত আলী এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
পিপি মির্জা হজরত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ সাত বছর মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ১ নম্বর আসামি ফারুক খলিফা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিচারক তাকে ফাঁসির আদেশ দেন। বাকি দুই আসামি ফারুকের বাবা জলিল ও মা ফুলমতিকে খালাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
জিপি