ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

জিয়ার আমলে দণ্ডিত-চাকুরিচ্যুত ৮৮ জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
জিয়ার আমলে দণ্ডিত-চাকুরিচ্যুত ৮৮ জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ

ঢাকা: ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর জিয়াউর রহমানের অবৈধ সামরিক আদালতে দেওয়া দণ্ড ও সাজাপ্রাপ্ত এবং চাকুরিচ্যুতদের চাকরির স্বাভাবিক অবসর পর্যন্ত বকেয়া বেতন, অন্যান্য সব সুবিধা, পেনশনসহ ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে এক আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি জমা দেওয়া হয়।  

রিট আবেদনটি করেছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট সাইদুর রহমানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন এবং দণ্ডিত, চাকুরিচ্যুত তৎকালীন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যসহ ৮৮ জন।


 
এ আবেদনের আইনজীবী হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মতিউর রহমান। আদালতে শুনানি করবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।

রিটে প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মতিউর রহমান।

আবেদনে জিয়াউর রহমানের অবৈধ মার্শাল  ল’ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৭ -এর অধীনে সামরিক আদালতে অবৈধ দণ্ড এবং সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেই অবৈধ দণ্ডাদেশের সময় থেকে চাকরির স্বাভাবিক অবসরের সময় পর্যন্ত পদ-পদবী অনুযায়ী তাদের চাকরির সমস্ত বকেয়া বেতন ও অন্যান্য সব সুবিধাসহ পেনশন না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা অনুযায়ী কেন সরকারি চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

পরে মতিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্শাল ল’ রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৭৭ দ্বারা সামরিক আদালতে জিয়াউর রহমান অন্যায়ভাবে বিচার করেছিল। সেই বিচারে যাদের ফাঁসি হয়েছিল, যাদের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিল এবং যারা চাকরিচ্যুত হয়েছিল সেসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনার জন্য রিট আবেদনটি করা হয়েছে।

এছাড়া যারা মারা গেছেন তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পোষ্যদের যাতে সরকারি চাকরিতে অ্যাকোমোডেট করার আর্জি জানানো হয়েছে। ৱ

বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
ইএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।