ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আদালত

নাটোরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
নাটোরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নাটোর: নাটোরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আফছার উদ্দিনকে (৪৩) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক এ রায় দেন। এসময় আসামি আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আফছার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া গ্রামের (আমিরগঞ্জ) মৃত সুরুজ উদ্দিনের ছেলে। আর নিহত সখিনা বেগম একই গ্রামের দেওয়ান আলীর ছোট বোন।  

নাটোর জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেন।  

তিনি জানান, ২০১২ সালের ১৬ আগস্ট আফছার তার স্ত্রী শখিনাকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে নাটোর শহরে নিয়ে যান। পরে ওইদিনই দুপুরে কবিরাজি চিকিৎসার কথা বলে শখিনাকে নিয়ে জেলার ইয়াছিনপুর এলাকায় রওনা দেন আফছার। পথে কৈগাড়ি-কিষ্টপুর এলাকার রেললাইনের ধারে একটি পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ওই পাষণ্ড স্বামী। দাম্পত্য কলহের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।  

পরে তিনদিন পর আফছার একাই বাড়ি ফিরলে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করলে তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সেখানেও হত্যার দায় স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থল থেকে সখিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।  

নিহতের বড় ভাই দেওয়ান আলী বাদী হয়ে একই বছরের ২৮ আগস্ট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি ও সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযুক্ত আফছার দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।  

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. মাসুদ হাসান ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লাভলু।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।