একইসঙ্গে ফাঁসির আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত অপর পাঁচ আসামিকে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাও ইউনিয়নের পাচলীপাড়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ওরফে খোকন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই খোকনের বাবা তৈয়বুর রহমান, দুই ভাই সম্রাট ও রোমান এবং একই এলাকার আশ্রাব আলী, মজিবুর রহমান ও আরব আলী।
মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শামীম, ইছাম উদ্দিন, ফজর আলী, বাততু ও ইব্রাহীম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রেলওয়েতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মামলার আসামি পাচলীপাড়ার তৈয়বুর একই এলাকার মতিউর রহমানের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু চাকরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে মতিউরের বিরোধ শুরু হয়। এরই জের ধরে ২০১১ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় ভ্যানে করে বাড়ি যাওয়ার পথে পাচলীপাড়া এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মতিউরকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় আসামিরা। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ অক্টোবর ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার সকালে এ রায় দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম ও আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এসআরএস