সোমবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তৌফিকুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে এ নির্দেশ দেন।
খোরশেদ জয়পুরহাট সদর উপজেলার হেলকুন্ডা গ্রামের খাজামদ্দীন মণ্ডলের ছেলে ও পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
অন্য দুই আসামি হলেন- খোরশেদ আলম সৈকতের ছোট ভাই মহসিন আলী ও একই উপজেলার বড় তাজপুর হাজিপাড়া গ্রামের মৃত নাজির উদ্দীনের ছেলে আশরাফ আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় করে পাঁচবিবি উপজেলা শহরে যাচ্ছিলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার বড় তাজপুর হাজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সালাম মূহুরীর ছেলে বালু ব্যবসায়ী রেজওয়ান হোসেন। পথে কদমতলী জিয়ার মোড় এলাকায় বালু ব্যবসার কোন্দল নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক নেতা খোরশেদের নেতৃত্বে ১২-১৬ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ২৪ সেপ্টেম্বর নিহতের মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় খোরশেদ ও তার ছোট ভাই মহসিন এবং আশরাফসহ ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে উল্লেখিত তিন আসামি ৩১ অক্টোবর উচ্চ আদালত থেকে দুই সপ্তাহের জন্য শর্ত সাপেক্ষে জামিন নিয়ে আসেন।
অবশেষে সোমবার নিম্ন আদালতে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, এজাহার নামীয় অন্য সাত আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এসআরএস