সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে গোবিন্দগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
নারাজি পিটিশনের শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুর রফিক সিরাজী ও গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু।
এর আগে, গত ৪ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী থমাস হেমব্রন চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন।
মামলার তদন্তে পিবিআই হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল ১১ আসামিকে বাদ ও ক্রটিপূর্ণ চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে দাবি করেন তিনি। পরে এ চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন বাদী থমাস।
আইনজীবী মিনহাজুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সাঁওতাল পল্লিতে হামলার ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তথ্য-প্রমাণ থাকলেও তা আড়াল করে পিবিআই’র দেওয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দেওয়া হয়। এ পিটিশনের শুনানিতে আমরা তথ্য-উপাত্ত, প্রমাণ এবং নানা যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন করেছি। দীর্ঘসময় শুনানি শেষে বিচারক ২৩ ডিসেম্বর পুনরায় শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন।
সাঁওতাল পল্লীতে হামলা মামলায় ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২৮ জুলাই পিবিআই আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে।
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-শ্রমিক ও সাঁওতালদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত ও পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। লুটপাটসহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বসতিও।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এসআরএস/এমএ