এ বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল খারিজ করে রোববার (০৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান।
পরে মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, সব আসামির বিষয়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
২০১৪ সালের ২৪ জুন এ মামলায় একজনের ফাঁসি ও দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেক আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ড ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- শাকিল শিকদার। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে আলী সরকার নাহিদ ও মো. ফোরকান।
অন্য আসামি মো. খোকনকে ভিকটিমের মোটরসাইকেল চোরাই মাল হিসেবে গ্রহণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আসামিপক্ষে আপিলও করা হয়। সম্প্রতি ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।
মামলার এজাহার হতে জানা যায়, নিহত আতিকুল ইসলাম এনটিভির ভিডিও এডিটর হিসাবে কাজ করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো ২০০৯ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে এনটিভির কাজ শেষ করে তার লাল রংয়ের ডিসকভারি মোটর সাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন।
পথে ঢাকার টঙ্গী ডাইভারশন রোডের মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের ২০ গজ আগে তালতলা গলির ভিতর জনৈক বাবুলের চায়ের দোকানের সামনে আসলে সন্ত্রাসীরা আতিকুল ইসলামকে পরপর দুটি গুলি করে তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে।
জনৈক পথচারী জাফর ও টিটু তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত সাড়ে ১০ টায় তিনি মারা যান।
ঘটনার পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি নিহতের ভাই আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের ঘটনা তদন্ত করে ওই বছরের ৯ আগস্ট আব্দুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ, মো. খোকন, মো. শাকিল শিকদার ও ফোরকানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১০ সলের ৬ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের ২৪ জুন এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
ইএস/এমএ