সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি– ‘বেলা’র পক্ষ থেকে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে অংশ নেওয়া আইনজীবী সাইদ আহমেদ কবির ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন।
রুলে কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেক থেকে টেকনাফের বদর মোকাম পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত, উন্নয়ন করা যাবে না এমন এলাকা (নো ডেভলপমেন্ট জোন) ও সংরক্ষিত এলাকায় সৈকত দখল, নির্মাণকাজ, বাণিজ্যিক স্থাপনা, পৌর বর্জ্য ও উচ্ছিষ্ট, প্লাস্টিকের দূষণ রোধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া প্রয়োগযোগ্য আইন লঙ্ঘন করে কক্সবাজার উপজেলার লাবনী পয়েন্ট, পর্যটন, উন্নয়ন নিষিদ্ধ ও পরিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকায় ১০ তলা বিশিষ্ট সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত কেন স্বেচ্ছাচারী ও আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, পরিবেশ সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, জন প্রশাসন সচিব, পানি সম্পদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ২২ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আইনজীবী সাইদ আহমেদ কবির বাংলানিউজকে বলেন, 'ডেভলপমেন্ট প্ল্যান ফর কক্সবাজার টাউন অ্যান্ড সি আপ টু টেকনাফ’ মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী জোয়ার-ভাটার মধ্যবর্তী লাইন থেকে পৌরসভার প্রথম ৩০০ মিটার ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’। এ এলাকায় কোনো স্থাপনা বা নির্মাণকাজ করা যাবে না। অথচ এসব এলাকায় নির্মাণকাজ চলছে।
‘এ বিষয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর ও ২৫ নভেম্বর দুই দফায় আইনি নোটিশ দেওয়া হয় সংশ্লিষ্টদের। তাদের অনেকেই জবাব দিয়েছেন, আবার অনেকেই দেননি। পরে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবর ও প্রতিবেদন যুক্ত করে বেলার পক্ষে রিটটি করা হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
ইএস/এইচজে