সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বেদেনা খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি পূর্ব মণ্ডলপাড়া গ্রামের চাঁদ আলীর মেয়ে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় খলিশাকুন্ডি গ্রামের ছমির আলীর স্ত্রী বিনা খাতুন তার ছয় মাস বয়সী শিশুপুত্র কর্ণকে ঘরের বারান্দায় শুইয়ে রেখে গৃহস্থালীর কাজে বাড়ির বাইরে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় আসামি বেদেনা খাতুনসহ অপর তিন সহযোগির যোগসাজসে কর্ণকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ছমির আলী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে বেদেনা খাতুনসহ চার জনের নামোল্লেখসহ দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে আসামি বেদেনা খতুনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। একই মামলায় অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি ঠেকারী খাতুন, চাঁদ আলী ও আব্দুর রশিদ নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এসআরএস