সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নম্বর চরমটুয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ইউপি সদস্য ফিরোজ আলম, চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মোরশেদ আলম, চেয়ারম্যানের সহযোগী বাদশাহ মিয়া।
বাদীপক্ষ জানায়, আধিপত্য ও নিজের প্রভাব বিস্তার করতে গত বছরের ৬ জুন দিবাগত রাত নিজ সীমন্তবর্তী ইউনিয়নের (২০ নম্বর আন্ডারচরের) বাসিন্দা আবুল কাশেমের একটি মার্কেটে লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ড চালান চেয়ারম্যান নুরুল আলম। এতে আবুল কাশেমের তিনটি কনফেকশনারি, একটি ফার্মেসি ও মুদি দোকানসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে উল্টো হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ওই চেয়ারম্যান।
পরে আবুল কাশেম বাদী হয়ে নুরুল আলমকে প্রধান আসামি করে মোট ১৬ জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে দোকানে আগুন ও লুটপাটের অভিযোগে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার উচ্চতর তদন্তের জন্য আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেন। পরে তদন্ত শেষে ২০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ মর্মে আবুল কাশেমের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।
মামলার নয় মাস পর সোমবার নুরুল আলমসহ অন্য আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এসআরএস