মঙ্গলবার (১৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত সপ্তাহে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা দায়ের করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আইয়ুব রহমান, আবু ইউনুস ওরফে আবু হায়দার ও দীন মজুমদার।
মামলায় খালেদকে গ্রেফতার দেখানো ও সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাশেদুর রহমান। সেই আবেদনের শুনানির জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে খালেদকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত করে কারা কর্তৃপক্ষ। শুনানি শেষে বিচারক এই মামলায় খালেদকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিএমএম আদালতে মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতালেব হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নতুন এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে ব্যাংক হিসাবে খালেদের মোট স্থিতির পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি ৫০ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, যা আসামি আইয়ুব রহমান, আবু ইউনুস ওরফে আবু হায়দার, দীন মজুমদার ও অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দেশের বাইরে পাচার করা হয়।
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের শুরুতেই ফকিরাপুল ইয়াং মেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থেকে ক্লাবের সভাপতি খালেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র (এর মধ্যে একটি অবৈধ), গুলি এবং ইয়াবাও জব্দ করা হয়। সে সময় ক্যাসিনো থেকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক এবং ২৪ লাখ নগদ টাকা, বিদেশি মদ, ক্যাসিনো বোর্ড জব্দ করার পর খালেদকে গ্রেফতার করে।
এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর তার নামে গুলশান ও মতিঝিল থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে মোট ৪টি মামলা করা হয়। পরে গত ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে দুদক। সব মিলিয়ে এর আগেই তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা বিচারাধীন বলে সিআইডির এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
কেআই/এইচজে