রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় মাহিম নামে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে হত্যার ঘটনায় আদালতে এমনই জবানবন্দি দিয়েছেন নিহত শিশুর বাবা জুলহাস ওরফে ফারুক ওরফে গুড্ডা (৩১) ও জুয়েল ব্যাপারী (২০)।
বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
শিশুটির মা স্মৃতি আক্তারের দায়ের করা হত্যা মামলায় এ দুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দিতে জুলহাস বলেন, হত্যা নয় ছেলেকে লুকিয়ে রেখে স্ত্রীর ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায়ই তার উদ্দেশ্য ছিল। এ জন্য প্রতিবেশী জুয়েলকে বলেছিলেন তার বাসায় ছেলে মাহিমকে রেখে তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করার জন্য। সেই অনুযায়ী মাতুয়াইল বাসার সামনে থেকে মাহিমকে ডেমরার দেইল্লার নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় তারা। ওই ছেলের বাবা জুলহাস একটি জুস কিনে আর জুয়েল জুসের সঙ্গে আটটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। খাওয়ানোর পরই মাহিম সেখানে মারা যায়। তখন দুজন মিলে মৃধাবাড়ি ময়লার ডিপুর পাশে গ্রিন মডেল টাউন এলাকায় মাহিমের লাশ বালু চাপা দেয়।
ছেলেকে হত্যার পর গত ২৯ জুন জুলহাস নিজেই র্যাব-১০ এর নিকট অভিযোগ ও যাত্রাবাড়ী থানায় জিডি করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০ জুন সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি এলাকায় র্যাব-১০ এর একটি অভিযানে অপহরণকারীকে আটক করে। জুয়েলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের পিতা জুলহাসকে মাতুয়াইল দরবার শরীফ মোড় এলাকা থেকে আটক করা হয়।
পরে এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা স্মৃতি আক্তার যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
কেআই/এইচএডি