১৪ জুলাই (মঙ্গলবার) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিবের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, আমাদের দেশে শিশুদের অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও শিশুরা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয় এবং স্বাভাবিক সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তা অনেকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
‘গত ৭ মে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে একটি প্রতিবেদন আসে। যার শিরোনাম ছিলো ‘লকডাউনে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে শিশু নির্যাতন’।
সেখানে দেখা যায়, একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়। যেখানে ২০০৯ সালে সারাদেশে ৪৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো সেখানে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ২৭ জেলায় ৩৫ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং শান্তির আওতায় আনতে না পারলে বিষয়টি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। ’
নোটিশে আরও বলা হয়, বেসরকারি সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ তাদের একটি জরিপের ফলাফল গত ১৩ জুলাই প্রকাশ করেছে, যেখানে আমরা লক্ষ্য করছি জুন মাসে শিশু নির্যাতনের হার এপ্রিল ও মে মাসের তুলনায় বেড়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বাল্যবিয়ের সংখ্যা। সার্বিক পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অপরিহার্য হয়ে দেখা দিয়েছে। ’
বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দুই মন্ত্রণালয়ের উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, শিশু অধিকার রক্ষা এবং তাদের বিষয়ে দেখাশোনা করার জন্য মূলত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন রিপোর্টের আলোকে প্রতীয়মান হয় তারা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি। ফলে শিশু নির্যাতনের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ’
তাই এই নোটিশ পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
ইএস/এএটি