ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব: তামিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব: তামিম

সংবাদ সম্মেলন ছিল ইংল্যান্ড সিরিজকে ঘিরে। নতুন কোচ এসেছেন, আলোচনায় আসতে পারতো সেটিও।

কিন্তু তামিম ইকবালকে বেশিরভাগ সময়ই ব্যস্ত থাকতে হলো সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে। এক পর্যায়ে তো প্রশ্নটা চলেও এলো, ‘সিরিজের আগে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে কেমন লাগছে?’

তামিম হেসে বললেন, ‘এটার জন্য তৈরি ছিলাম। ’ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের এক সাক্ষাৎকারের পরই শুরু সবকিছুর। জাতীয় দলের দুই বড় তারকা ও তিন ফরম্যাটের আলাদা অধিনায়কের দ্বন্দ্বে জড়ানোর খবর চলে আসে প্রকাশ্যে। ওয়ানডে অধিনায়কের জন্য বিসিবি সভাপতির এমন কাজ কতটা ‘শকিং’?

প্রশ্নটা শুনে রোববার মিরপুরের সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলছিলেন, ‘আমি জিনিসটার ব্যাপারে কালকেই জানতে পারি। যেটা আমি আপনাকে বললাম - যখন আমরা বাংলাদেশ দল বা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করি; মাঠে সবকিছু ঠিক আছে, কুল আছে। নাথিং এলস মেটারস মানে হলো নাথিং এলস মেটারস। কে কী বললো, কে কী হলো না হলো। ’

‘আমাদের সম্পর্ক কেমন, আমরা একসঙ্গে কফি খাই নাকি এগুলো কোনো কিছু মেটার করে না। যতক্ষণ অবধি আপনি দল ও দেশকে একশভাগ দিচ্ছেন। যদি এই জায়গায় কোনো সমস্যা হতো, আমি হয়তো বলতাম আপনাকে। আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখি না। অনেকসময় ওর সঙ্গে আমার ব্যাট করতে হয়, তখন স্বাভাবিক থাকে। যখন সে উইকেট পায়, আমরা একসঙ্গে উদযাপন করি। ’

সাকিবের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে তামিম ইকবাল বারবারই বলেছেন মাঠে সবকিছু ঠিক থাকার কথা। ‘নাথিং এলস মেটারস’ বাক্যটি বলেছেন বারবার। তবুও তারা দুজন দলের সবচেয়ে বড় তারকা। তাদের দ্বন্দ্ব নিশ্চয়ই দলের জন্যও খারাপ বার্তাই দেয়। এই সম্পর্ক কি ঠিক হওয়া সম্ভব? এমন প্রশ্নে তামিমের জবাব, ‘সম্ভব সবকিছুই। এভ্রিথিং ইজ পসিবল। ’

সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্ব মেটাতে চেয়েও পারেননি, এমন কথা জানিয়েছেন খোদ বিসিবি সভাপতি। এর বাইরেও চেষ্টা চলেছে। একবার নাকি দুজন মুখোমুখিও হয়েছিলেন। তামিম সাড়া দিলেও সম্পর্ক ঠিক করার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না সাকিব। এ নিয়েও জানতে চাওয়া হয় তামিমের কাছে।

জবাবে তিনি বলেছেন, ‘যা হয়েছে, দুজন ব্যক্তির মধ্যে হয়েছে। তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ দুজন। এটা ওই রুমেই আটকে থাকা দরকার। আমি এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। ’ 

বাংলাদেশ দলে তামিমের বন্ধু কে? তামিম বলেছেন, ‘সবাই, কোনো ডিপ্লোমেসি না। আমি তাসকিনের সঙ্গে ডিনারে যাই, তাইজুল, মিথুন, শান্তর সঙ্গেও যাই। আমার অনেক বন্ধু। মুশফিকের সঙ্গে ডিনারে যাই। ফ্রেন্ড...দেখেন এটা পেশাদার জায়গা। আমার কাছে মনে হয় যে সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক একই লেভেলে আপনার থাকবে না। আমি নিশ্চিত আপনার অফিসে সবার সঙ্গে একই সম্পর্ক নেই। ’

‘কারো সঙ্গে বেশি থাকে, কারো সঙ্গে কম থাকে। কাউকে পছন্দ করেন, কাউকে করেন না। এটা এমনই। শুধু বাংলাদেশে না, বিশ্বের যেকোনো খেলাতেই একই ব্যাপার। বারেবারে একটাই কথা বলছি, যেটা মেটার করে যখন আমরা একসঙ্গে মাঠে নামছি। কাকে কম পছন্দ করি, কাকে বেশি পছন্দ করি; এটা কোনো মেটারই করে না। যখন আমরা একসঙ্গে মাঠে নামছি, তখন আমাদের মোটিভটা এক কি না। আমার কাছে ১০০ শতাংশ নিশ্চয়তা দিয়ে আমি বলতে পারি, মোটিভটা একই। একই কথা আমি বারবার বলছি, আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।