লক্ষ্য ২৫৮ রানের, তা আর এমন কী! বাজবল যুগে এখন ৩০০ রানের বেশি লক্ষ্যও যেন ইংল্যান্ডের কাছে মামুলি। ওয়েলিংটন টেস্টে একই পথে হাঁটছে বেন স্টোকসের দল।
ফলো অনে পড়ে ভালোই প্রতিরোধ দেখায় নিউজিল্যান্ড। ২৪ রানে পিছিয়ে থেকে ৩ উইকেটে ২০২ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। সকালের সেশনেই অবশ্য দ্রুতই ফিরে যান হেনরি নিকোলস (২৯)। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে নেন কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল। পঞ্চম উইকেট ৭৫ রানের জুটি গড়েন তারা। সেই জুটিতে ভর করেই লিড নিতে শুরু করে কিউইরা।
জো রুটের ক্যাচ মিচেলকে (৫৪) শিকার করে সফরকারীদের ব্রেক থ্রু এনে দেন স্টুয়ার্ট ব্রড। তবে উইকেট ধরে রেখে ক্যারিয়ারের ২৬ তম সেঞ্চুরি তুলে নেন উইলিয়ামসন। ষষ্ঠ উইকেটে টম ব্লান্ডেলের সঙ্গে ১৫৮ রানের বড় জুটি গড়েন তিনি। জুটি ভাঙার জন্য কিছুতেই কিছু না হওয়ায় আনকোরা হ্যারি ব্রুককে বোলিংয়ে আনেন ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকস। তার সেই টোটকা কাজে লেগে যায় খুব দ্রুতই।
নিজের তৃতীয় ওভারে উইলিয়ামসনকে শিকার করে ক্যারিয়ারে প্রথম উইকেটের স্বাদ পান ব্রুক। ৪৪৭ মিনিট ব্যাট করে ২৮২ বলে ১২ চারে ১৩২ রান করে ফেরেন উইলিয়ামসন। আউট হওয়ার আগে অবশ্য একটি রেকর্ডও গড়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। রস টেলরকে (৭৬৮৩) টপকে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন তিনি (৭৭৮৩)। সেঞ্চুরি কাছাকাছি ছিলেন ব্লান্ডেলও। কিন্তু জ্যাক লিচের বলে স্লিপে থাকে রুটকে ক্যাচ দেন তিনি। দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার সময় ব্যক্তিগত ৯০ রানে থামতে হয় তাকে। ইংল্যান্ডের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন লিচ।
৪৮৩ রানে অল আউট হয়ে ইংল্যান্ডকে ২৫৮ রানের লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ড। অন্য সময় হলে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই বলা হতো। কিন্তু ইংল্যান্ডের এই দলটি যেন অন্য ধাতুতে গড়া। জবাব দিতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করে সফরকারীরা। দিন শেষ হওয়ার আগে ১১ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা করে ৪৮ রান। বেন ডাকেট ২৩ ও ওলি রবিনসন অপরাজিত আছেন ১ রানে। এর আগে ওপেনার জ্যাক ক্রলিকে (২৪) বোল্ড করেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি।
১৪৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ফলো-অনে পড়ে জেতার নজির তিনটি। সবশেষ ২০০১ সালে ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতেছিল ভারত। তাই নিউজিল্যান্ডকে জিততে হলে অলৌকিক কিছুই করতে হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৩০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এএইচএস