শুরুতে অনেকটা একাই লড়াই করলেন জেসন রয়। পরে তার সঙ্গী হলেন জস বাটলার।
শুক্রবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে বাংলাদেশের দরকার ৩২৭ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রান করেছে সফরকারীরা। এর আগে সর্বোচ্চ ৩২২ রান তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ হারার পর এটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই, জিততে হলে রেকর্ডই গড়তে হবে তামিম ইকবালের দলকে।
ম্যাচটিতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। দলীয় ২৫ রানে তাদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে কাভার পয়েন্ট দিয়ে সজোরে ব্যাট চালান ফিল সল্ট। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে সোজা চলে যায় স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে, দারুণ এক ক্যাচ নেন তিনি। তাই ব্যক্তিগত ৭ রানেই থামতে হয় এই ওপেনারকে।
ফিল সল্ট ফিরে যাওয়ার পর আরও সাবলীল হয়ে উঠেন জেসন রয়। একের পর এক বাউন্ডারি আসছিল তার ব্যাট থেকে। অপর প্রান্তে ধীরেসুস্থে এগোচ্ছিলেন দাভিদ মালান। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ রয়কে সঙ্গে দিতে পারেননি মালান। মেহেদী হাসান মিরাজের ফাঁদে পড়ে অল্পতেই সাজঘরে ফিরতে হয় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ানকে।
ইনিংসের ১৬ তম ওভারে দলীয় ৮৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটটি হারায় ইংল্যান্ড। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ফুল লেংথে পিচ করা মিরাজের বল শার্প টার্ন নিয়ে সোজা আঘাত হানে মালানের প্যাডে। আবেদনে সাড়া দিয়ে আউটের আঙুল তোলেন আম্পায়ার। মালানও রিভিউ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি।
১৯ বলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়াই ১১ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর রয়ের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন জস বাটলার। তাদের দুজনের জুটি বাংলাদেশের জন্য বিপদের হয়ে যাচ্ছিল বেশ। সেটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। শত রান করেও ছুটতে থাকা রয়কে থামান তিনি।
সাকিবের আর্ম বলে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন রয়। এর আগে অবশ্য ১৮ চার ও ১ ছক্কায় ১২৪ বলে ১৩২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। মাঝে উইল জ্যাকসকেও ফিরতে হয় দ্রুতই। তাকে ফেরান পেসার তাসকিন আহমেদ।
এই পেসারের বল লেগে টেনে খেলতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন সাকিবের হাতে। ৪ বল খেলে কেবল ১ রান করেন তিনি। রয়ের ফেরার পর বাংলাদেশের জন্য বড় দুশ্চিন্তা হয়েছিলেন জস বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ক যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেও।
মেহেদী হাসান মিরাজ নিজের বলে নিজেই দারুণ এক ক্যাচ নিলে বাটলারকে ফিরতে হয় সাজঘরে। ৫ চার ও ২ ছক্কায় এর আগে ৬৪ বলে ৭৬ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর দলকে টেনে নেন মঈন আলী ও স্যাম কারান। তাদের কল্যাণেই তিনশ ছাড়িয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪২ রান করে মঈন ফিরলেও শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন স্যাম কারান। তিনি ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৯ বলে করেন ৩৩ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের প্রায় সবাই-ই ছিলেন খরুচে। ছয়ের নিচে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন কেবল তাইজুল ইসলাম। ১০ ওভারে ৫৮ রান খরচায় ১ উইকেট নেন তিনি। ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৩ রান দিয়ে দুই ও সাকিব ৬৪ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে কোনো উইকেটের দেখা পাননি মুস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৮ ঘণ্টা, ৩ মার্চ, ২০২৩
এমএইচবি