বছরখানেক আগেও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ছিল ছন্নছাড়া দল। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর এশিয়া কাপেও ছিল হতাশাজনক পারফরম্যান্স।
যদিও শেষ অবধি পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এসে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামে সাকিব আল হাসানের দল। যেখানে সফরকারীদের করেছে হোয়াইটওয়াশ। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব বলছেন, দলের এখন বিশ্বাস জন্মেছে বড় দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারার।
তিনি বলেছেন, ‘দেখুন, আমি বলবো যে পরিবর্তন...জানি না, এশিয়া কাপ থেকে বোধ হয় অধিনায়কত্ব শুরু হয়েছে আমার, আমরা হয়তো এখানে ম্যাচ জিতিনি কিন্তু আমরা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। বিশ্বকাপে আমরা খুবই দুর্ভাগা যে সেমিফাইনাল খেলত পারিনি। একটা ম্যাচ বেশি জিতলেই সেমিফাইনাল খেলতে পারতাম, ওই সুযোগ আমাদের ছিল। ’
‘জানতাম আমরা খুবই ক্লোজ ছিলাম। আমার মনে হয় পুরো দলেরই বিশ্বকাপ থেকে এই আত্মবিশ্বাস জন্মেছে যে আমরা বড় দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে অনেক সংশয় ছিল, কিন্তু বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স আমাদের বিশ্বাস দিয়েছে বড় দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। ’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘যখন হোমে খেলা, আত্মবিশ্বাস আরও বেশি ছিল। আমরা জানতাম ভালো খেললে.. ইংল্যান্ডের ব্যাটার কিছু কমতি ছিল। যে জায়গাতে আমাদের ক্যাপিটালাইজ করার সুযোগ ছিল, করতে পেরেছি। যখন ওদের তিন-চার উইকেট পড়ে গেছে, ওরকম ব্যাটার ছিল না। ওটা আমাদের জন্য অ্যাডভান্টেজ ছিল। ’
এই সিরিজে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই আলো কেড়েছেন। এর মধ্যে আলাদা ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, পুরো সিরিজজুড়েই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে ফিরে ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লিটন দাসও। যদিও সাকিব বলছেন, আলাদা করে কাউকে নিয়ে বলতে চান না তিনি।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কোনো খেলোয়াড় নিয়ে বলতে চাই না। সবাই অসাধারণ খেলছে। যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখা দরকার ছিল, করেছে। দুয়েকজন হয়তো যতটা আমরা সবসময় ভাবি খেলবে, এতটা একটা দলে সবসময় খেলা যায় না। যারা ভালো খেলছে, আমি প্রত্যাশা করছি তারা যতদিন সম্ভব ভালো খেলতে থাকুক। যারা হয়তো এত ভালো অবদান রাখতে পারিনি, তারা যদি ১০-১৫শতাংশ বেশি রাখতে পারে; তাহলে আমরা আরও ভালো দল হবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম