আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসে কেবল চতুর্থ টেস্ট। বাংলাদেশের জন্য তা হবে ১৩৭তম।
টেস্টেও যে তাদের খুব বড় প্রত্যাশা নেই, সেটি অনুমিতই। ম্যাচের আগেরদিন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নির কণ্ঠে বরং সাদা পোশাকে নামতে পারারই উচ্ছ্বাস। তিনি বলছিলেন, ‘এই গ্রুপটা খুব রোমাঞ্চকর। হুট করে সাদা পোশাক গায়ে তোলা, সাদা প্যাড পরা। আমরা জানি বাংলাদেশ টেস্টে কত ভালো দল, বিশেষ করে এখানে। এটা চ্যালেঞ্জিং হবে কিন্তু রোমাঞ্চকরও। ’
তবে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বাস্তবতাটাও ভালোই জানা আইরিশ অধিনায়কের। স্কোয়াডের ১৫জন ক্রিকেটারের নয়জনেরই নেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা। সবচেয়ে বেশি ৯৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন গ্রাহাম হিউম, সেটিও দক্ষিণ আফ্রিকাতে। আর কেউ খেলতে পারেননি ১৫টিও।
এ নিয়ে বালবার্নি বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় স্থায়িত্বটাই চ্যালেঞ্জ হবে। আমাদের দলের অনেকেরই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। পাঁচ দিনের টেস্ট আলাদা। অনেক ছেলেই সাদা বল খেলে বেড়ে উঠেছে। একজন ব্যাটারের যত বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করতে হবে। একজন বোলারের যতটা সম্ভব ডিসিপ্লিন হতে হবে। এটাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গরমের কারণে কন্ডিশনও একটা চ্যালেঞ্জ হবে। ছেলেদের নিজেদের কাজটা বুঝতে হবে। ’
আয়ারল্যান্ড সবমিলিয়ে খেলেছে কেবল ৩টি টেস্ট। সর্বশেষ ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে। এরপর তিন বছরের বেশি সময় ধরে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে মাঠে নামা হয়নি তাদের। আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক বালবার্নি বলছেন, নতুন কোনো টেস্ট দলের বিপক্ষে খেলতে পারাই তাদের জন্য বড় রোমাঞ্চ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হবে আমাদের টেস্ট খেলা চতুর্থ প্রতিপক্ষ। ইংল্যান্ডে তাদের বিপক্ষে খেলা ছিল কঠিন। পাকিস্তান আমাদের প্রথম প্রতিপক্ষ। আফগানিস্তানের সঙ্গেও খেলেছি। টেস্টে নতুন দলের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই দারুণ। এটা ইতিহাসের বইয়ে লেখা থাকবে। বাংলাদেশের সত্যি কিছু ভালো ক্রিকেটার আছে। ’
‘তাদের কিছু টেস্ট স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারও আছে। আমরা বাংলাদেশের কয়েকজন পেসার ও স্পিনারকে দেখেছি। জানি কী আসতে পারে। টেস্ট ক্রিকেট আলাদা চ্যালেঞ্জ। খুবই আনন্দের বিষয় হচ্ছে খেলতে পারার রোমাঞ্চটা। আমরা সেরা টেস্ট দলের সঙ্গে খেলতে চাই আর বাংলাদেশ খুব ভালো টেস্ট দল। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৭০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস