তাইজুল ইসলাম দেশেরই উজ্জ্বল ব্যতিক্রমদের একজন। চলনে সাধাসিধা, সোজাসাপ্টা কথাই তার পছন্দ।
এই ফরম্যাটে দলের নিয়মিত প্রতিনিধি। পারফরমও করেন বরাবরই। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে এই স্পিনার দেখা পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ১১তম ফাইফারেরও। এরপর এসে সংবাদ সম্মেলনের শুরুর দিকটাতে তাইজুলকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সাকিব আল হাসান কেন বল করেননি, প্রতিপক্ষের বিশ্লেষণ, নিজেদের চাওয়া এসব নিয়েই বলছিলেন তিনি।
তার মতো স্পিনারের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়ার ঘটনা খুব একটা ঘটে না। তাইজুল পেলেন। কেমন লাগছে? তিনি বলছিলেন, ‘অবশ্যই এটা ভালো লাগার বিষয় যে, প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছি। উইকেটের যেমন অবস্থা, এই উইকেটে ৫ উইকেট পাওয়াটা কঠিন হয়। আলহামদুলিল্লাহ যে ৫ উইকেট পেয়েছি। ’
বয়স তাইজুলের ৩১ ছাড়িয়েছে। ৪১ টেস্টে খেলে এখন পর্যন্ত ১৭১ উইকেট পেয়েছেন। এই ফরম্যাটে দলের বড় সম্বলও। ক্যারিয়ারের মাঝখানটাতে এসে কোথায় যাওয়ার লক্ষ্য তাড়া করে তাইজুলকে? প্রশ্নটায় উল্লেখ ছিল বয়সের কথাও।
এ নিয়ে উত্তরে কিছুটা রসিকতা রাখলেন তিনি। তাইজুল বলছিলেন, ‘মন তো চায় ৫০০-৬০০ উইকেট নিই (হাসি)। বয়স হয়েছে, হ্যাঁ! তবে বুড়ো হয়ে যাইনি তো (হাহাহা)। ’
৪ উইকেট নেওয়ার পর ফাইফারের আগে ভাবনা কেমন ছিল? তাইজুল বলছিলেন, ‘ভাবনার আসলে কিছু নেই। ৫ উইকেট যখন পেলাম তখন মন চাচ্ছিল, আরেকটা উইকেট যদি নিতে পারি তাহলে ৬টা হবে। তো উইকেট পেলে ভালোই লাগে। ’
উইকেট নিয়ে তিনি বলেন, ‘না! (প্রত্যাশা থেকে) উইকেট তেমন পরিবর্তন হয়নি। উইকেটটা এমন যে, আপনি চাইলেও কিন্তু বড় শট করতে পারবেন না। হয়তোবা টিকে থাকতে পারবেন। তবে বড় শট খেলতে গেলে কিছু একটা হয়ে যাবে। ভালো লাইন-লেংথে বল করতে পারলে পেসার হোক বা স্পিনার- দুই জনই ভালো সুবিধা পাবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৮৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস