আগামী দিনের সুপারস্টার— হ্যারি ব্রুকের ব্যাটিং দেখে প্রায় সবাই বলে থাকেন তা। তাই তো ১৩ কোটি ২৫ লাখ রুপি দিয়ে তাকে দলে ভেড়ায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
টি-টোয়েন্টিতে জ্বলে ওঠার জন্য ওপেনিংয়ের চেয়ে ভালো জায়গা আর হয় না। তবে ব্রুক সাধারণত পাঁচ নম্বরেই ব্যাট করে থেকে। কিন্তু আইপিএলে পরিবর্তন আনা হয় তার ব্যাটিং পজিশনে। সেখানেও সফলতার দেখা পেলেন এই ডানহাতি। যদিও এর পেছনে রহস্য একদমই ভিন্ন।
ব্রুক বলেন, ‘এত দিন আমার পরিবারের সকলেই ছিলেন। কিন্তু এক দিন আগে তারা দেশে ফিরে গেছেন। শুধুমাত্র আমার বান্ধবী এসেছে ইডেনে। আমি জানতাম তারা চলে গেলেই রান পাব আমি। এই ইনিংস দেখে তারা সকলেই খুব খুশি হবেন। ’
প্রথম তিন ম্যাচে ব্রুকের স্কোর ছিল যথাক্রমে ১৩, ৩, ১৩। এতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে গেল গেল রব উঠে যায়। অনেকেই মনে করছিলেন হায়দরাবাদের এতোগুলো টাকা বোধ হয় জলে গেল। কিন্তু বাজে সময় কাটিয়ে ৫৫ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস ২৪ বছর বয়সী। আইপিএলের চলতি আসরে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি। সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটে তাই ভালোই লাগছেন ব্রুকের।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ওপর একটু চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেখি সকলে আমাকে ফালতু বলছিল। যা দেখে নিজের ওপরই কিছুটা সন্দেহ তৈরি হয়। সেখানে অনেক ভারতীয় ভক্তও রয়েছে, যারা আজ (শুক্রবার) আমাকে অভিনন্দন জানাবে। কিন্তু কয়েক দিন আগে তারাই আমাকে অপমান করেছে। আমি খুশি যে, তাদের মুখ বন্ধ করতে পেরেছি। ’
ওপেনিং ব্যাট করা প্রসঙ্গে ব্রুক বলেন, “বেশির ভাগ লোকই বলে, টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিং ব্যাটিংয়ের জন্য সেরা সময়। তবে আমি যে কোনো জায়গায় ব্যাট করতে পছন্দ করি। পাঁচে ব্যাট করে আমার প্রচুর সাফল্য রয়েছে। আমি সেই পজিশনেই নিজের নাম তৈরি করেছি। তবে আমি ওপেনিং করতে পেরে খুশি। এই সেঞ্চুরির থেকে টেস্টের ৪ সেঞ্চুরিকেই বেশি এগিয়ে রাখব। আজ (শুক্রুবার) ‘ডোন্ট কেয়ার’ মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। সৌভাগ্যবশত সেটা কাজে লেগছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এএইচএস