ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত ‘উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালামনাকে’র এবারের সংস্করণে বিশ্বের ‘লিডিং’ পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বেন স্টোকসকে। এনিয়ে গত চার বছরে তিনবার এই পুরস্কার জিতলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক।
গত বছর ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব হাতে পাওয়ার পর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে জুটি বেঁধে টেস্ট ক্রিকেটে আমূল পরিবর্তন আনেন স্টোকস। সৃষ্টি হয় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার নতুন মন্ত্র 'বাজবল'। বাজ অবশ্য ম্যাককালামের ডাক নাম। আগ্রাসী ক্রিকেটের সেই মন্ত্র মেনে এখন পর্যন্ত সফলই স্টোকস। তার নেতৃত্বে ১২ টেস্টের মধ্যে ১০টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। অথচ এর আগে ১৭ টেস্টের ভেতর কেবল একটিতে জিতেছিল দলটি। পুরো দলের সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের ভাগ্যটাও পরিবর্তন করে দেন স্টোকসবাহিনী।
নিউজিল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোসহ পাকিস্তানের মাটি থেকে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফেরে ইংল্যান্ড। এই সময়ের ভেতর ৪০ গড়ে ব্যাট করার পাশাপাশি ২৫.৬৬ গড়ে বোলিং করেছেন স্টোকস। শুধু তা-ই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেন ম্যাচজয়ী এক ইনিংস। বড় মঞ্চের খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত স্টোকসকে তাই দ্বিতীয় কোনো ভাবনা ছাড়াই লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে ঘোষণা করে উইজডেন। নারী ক্যাটাগরিতে একই পুরস্কার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি।
‘বাজবল’ মন্ত্রের হৃদপিণ্ড বলা হয় জনি বেয়ারস্টোকে। গত গ্রীষ্মে দানবীয় ফর্মে থেকে ৬৮১ রান করেন এই ব্যাটার। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের কারণে ‘উইজডেন ট্রফি উইনার’ স্বীকৃতি পান। পুরস্কারটি এবারই চালু করেছে উইজডেন।
এদিকে বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটার হয়েছেন ইংল্যান্ডের ম্যাথু পটস, বেন ফোকস, নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল, টম ব্লান্ডেল ও ভারতের হারমানপ্রীত কৌর। লিডিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ভারতের সূর্যকুমার যাদব।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
এএইচএস