জীবনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছেন শচিন টেন্ডুলকার। পূর্ণ করেছেন বয়সের অর্ধশতক।
গত কয়েক বছরে ক্রিকেটের আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। করোনাকালে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য রক্ষায় বলে থুতু লাগানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এখন বলে থুতু লাগানো পুরোপুরি বন্ধ। একইসঙ্গে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুটি নতুন বল ব্যবহার করার নিয়মের কারণে বোলারদের জন্য রিভার্স সুইং পাওয়া কঠিন।
এই বিষয়গুলো নিয়েই নিজের ৫০তম জন্মদিনে টেন্ডুলকার বলেন, ‘ক্রিকেট খেলাটা এখন কঠিন হয়ে গিয়েছে। ’ সেই সঙ্গে ‘আম্পায়ার্স কল’ বিষয়টি একেবারেই তার মাথায় ঢোকে না বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার নিয়ম বদল করছি বলেই সব কিছু কঠিন হয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটে। আমাদের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম ধরেই থাকা উচিত। যদি সেই নিয়ম ঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে জটিলতা তৈরি হবে না। একটা কথা মনে রাখা উচিত, ক্রিকেটের তিনটি ভিন্ন সংস্করণ। দুনিয়াতে খুব কম খেলাই আছে, যেটি তিনভাবে খেলা হয়। আমি সত্যিই বুঝতে পারি না, ক্রিকেটের আইন যারা তৈরি করেন, তারা আসলে কী ভাবেন। ’
‘আম্পায়ার্স কল’ নিয়ে শচীন বলেন, ‘আমি এত কিছু বুঝি না। আমি বুঝি, বল যদি স্টাম্পের যেকোনো জায়গায় লাগে, তাহলে আউট। এটি দুই দলের জন্যই প্রযোজ্য। রিভিউর সময় যখন থার্ড আম্পায়ার রায় দেন, তখন আমার মনে হয়, মাঠের মধ্যে অনেকেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্তুষ্ট হন না। আম্পায়ার্স কল রিভিউতে কেন থাকবে? যেহেতু মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ নেওয়া হয়েছে, তাই চূড়ান্ত বিচারে তার সিদ্ধান্ত কেন প্রভাব বিস্তার করবে?’
ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ টেস্ট খেলা শচীন রসিকতা করে আরো বলেন, ‘আমার কাছে জিনিসটা মনে হয়, একটা কাপে একটু চা আর একটু কফি মিশিয়ে নাড়া দেওয়া। মাঠের আম্পায়ারের একটা সিদ্ধান্ত মানছি না বলেই তো থার্ড আম্পায়ারের কাছে যাওয়া। তাহলে আবার মাঠের আম্পায়ারের কাছে ফেরা কেন! আমি মনে করি, এভাবে চলে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
এআর/এএইচএস