মাঝারি সংগ্রহ নিয়েও বোলারদের নৈপুণ্যে দারুণ জয় তুলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচটিতে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে যতক্ষণ হেনরিখ ক্লাসেন ও ওয়াশিংটন সুন্দর ছিলেন, ততক্ষণ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
আজ রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় দিল্লি। পরে দলটির বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলে পারে হায়দরাবাদ। ফলে ৭ রানে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে হায়দরাবাদ। সেখান থেকে ক্লাসেন ও ওয়াশিংটন মিলে ২৬ বলে গড়েন ৪১ রানের জুটি। এই জুটিতেই আশা দেখছিল দলটি। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ক্লাসেন (৩১) বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। এরপর সুন্দরের ব্যাটে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেয় হায়দরাবাদ। কিন্তু শেষ ওভারে ১৩ রান দারুণভাবে ডিফেন্ড করেন দিল্লির পেসার মুকেশ কুমার। মাত্র ১টি বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। খরচ করেন মাত্র ৫ রান। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়াশিংটন। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল।
এর আগে দিল্লিও ব্যাটিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ম্যাচের প্রথম বলেই ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হয়ে ফেরেন দিল্লির ওপেনার ফিল সল্ট। এরপর দিল্লির রানের চাকার গতি কমে যায়। উইকেটও পড়ে নিয়মিত বিরতিতে। বিশেষ করে অষ্টম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে ৩ উইকেট হারায় দিল্লি। ৬২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলটি আর সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে করেছেন মনিশ পান্ডে ও অক্ষর প্যাটেল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান এসেছে মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে।
৭ ম্যাচে মাত্র ২টি করে জয় পাওয়া হায়দরাবাদ ও দিল্লির অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের একদম শেষে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
এমএইচএম