ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মামুলি লক্ষ্য পেয়েও ব্যাঙ্গালোরের কাছে হারল লক্ষ্ণৌ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৪ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
মামুলি লক্ষ্য পেয়েও ব্যাঙ্গালোরের কাছে হারল লক্ষ্ণৌ

২০২৩ আইপিএলের অধিকাংশ ম্যাচেই দেখা গেছে রানবন্যা। এমনকি কয়দিন আগেই লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েছিল।

কিন্তু এবার মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখলো দলটি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ছুড়ে দেওয়া মামুলি লক্ষ্যও পেরোতে পারলেন না লোকেশ রাহুলরা।

একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৬ রানের পুঁজি পায় ব্যাঙ্গালোর। জবাবে ১০৮ রানেই গুটিয়ে যায় লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংস। ফলে ১৮ রানে জয় তুলে নেয় ফাফ ডু প্লেসির দল।  

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস মূলত হেরেছে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে। দলটির টপ অর্ডার একেবারেই ব্যর্থ। এর সঙ্গে যোগ হয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ইনজুরি। ফলে ওপেনিং নয়, তাকে নামতে হয় ১১ নম্বর ব্যাটার হিসেবে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকে দেরি হয়ে গেছে।

লক্ষ্ণৌয়ের আসল সর্বনাশ করেছেন করণ শর্মা ও জশ হ্যাজেলউড। দুজনে ২টি করে উইকেট নিলেও রানের চাকা আটকে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। বাকি বোলাররাও ছিলেন দারুণ ছন্দে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই লক্ষ্ণৌয়ের ওপেনার কাইল মায়ার্সকে (০) বিদায় করেন মোহাম্মদ সিরাজ। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে লক্ষ্ণৌ।  

লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেছেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। আর শেষ ওভারের পঞ্চম বলে দশম ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেওয়ার আগে অমিত মিশ্র খেলেন ৩০ বলে ১৯ রানের ইনিংস। যা পরিস্থিতি বিবেচনায় একেবারেই বেমানান। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে নামা ব্যাটার হিসেবে অস্বাভাবিক নয়। আফগান পেসার নাভিন-উল-হক যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু পারেননি। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে রাহুল নেমেও ৩ বলের মোকাবিলায় কোনো রান করতে পারেননি।  

বল হাতে বেঙ্গালোরের করণ শর্মা ও জশ হ্যাজেলউড ২টি করে এবং সিরাজ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং হার্শাল প্যাটেল নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

এর আগে ব্যাঙ্গালোরও ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। নাভিন-উল-হক (৩০/৩), রবি বিষ্ণুই (২১/২) এবং অমিত মিশ্র (২১/২) মিলে নাজেহাল করে ছাড়েন ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটারদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন লক্ষ্ণৌয়ের অধিনায়ক রাহুল। কিন্তু তার দলের স্পিনাররা ঠিকই ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটারদের চাপে রাখেন। ডু প্লেসি ও বিরাট কোহলি স্পিনারদের বিপক্ষে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছেন। তবে পেসারদের ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিলেন দুজনে। কিন্তু স্লো পিচে রানের গতি ছিল কম।  

কোহলি ও ডু প্লেসির মতো আগ্রাসী ব্যাটার ক্রিজে থাকা সত্ত্বেও চার ও ছক্কার দেখা সেভাবে পাওয়া যাচ্ছিল না। কোহলির ৪৩ রান করলেই আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করতেন। ধীরে ধীরে হাত খোলার চেষ্টাও করছিলেনে  তিনি। তাতে  মনে হচ্ছিল মাইলফলকটা গড়েই ফেলবেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩১ রানেই থামতে হয় তাকে।  

কোহলি বিদায় নিলেও ডু প্লেসি অনেকটা সময় ক্রিজে কাটিয়েছেন। তবে এই প্রোটিয়া ব্যাটার অল্পের জন্য ফিফটির দেখা পাননি। ৪০ বল খেলে ৪৪ রান করেছেন তিনি। চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১টি করে। দলকে ১০৯ রানে রেখে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনি। এরপর বলার মতো রান করেছেন কেবল মুরালি কার্তিক (১৬)। আর কেউ দুই অংকের দেখাও পাননি।  

এই জয়ে পাঁচে উঠে এলো ব্যাঙ্গালোর। ৯ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। আর লক্ষ্ণৌ নেমে গেল তিনে। সমান ম্যাচে তাদেরও সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট; কিন্তু নেট রান রেটে তারা ব্যাঙ্গালোর এবং চারে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের চেয়ে এগিয়ে। দুইয়ে থাকা রাজস্থান রয়্যালসও সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় দুইয়ে অবস্থান করছে। আর গুজরাট টাইটান্স ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।