দিনের শেষ বল— মোহাম্মদ শামির করা হাফভলি সোজা কাভার অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন স্টিভেন স্মিথ। সেটাই যেন পুরো দিনের প্রতিচ্ছবি হয়ে ফুটে উঠল।
দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১৫৬ বলে ২২ চার ও ১ ছক্কায় ১৪৬ রানে অপরাজিত আছেন ট্রাভিস হেড। স্টিভেন স্মিথ অবশ্য হেডের মতো এতোটা মারমুখী ছিলেন না। তাই সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থেকেই দিন শেষ করতে হয় তাকে। ২২৭ বলে ১৪ চারে ৯৫ রানে অপরাজিত আছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
দ্য ওভালে এর আগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। উইকেটে ঘাস আছে, তার ওপর ওভারকাস্ট কন্ডিশন থাকায় অধিনায়ক রোহিত শর্মার সিদ্ধান্তে হয়তো ভুল ধরার অবকাশ নেই। তবে সূর্যের উত্তাপটা যত বাড়তে থাকে, তত ব্যাটিং বান্ধবে রূপ নেয় উইকেট। একাদশে চার পেসার নিয়েই খেলে ভারত। তাই জায়গা হয়নি টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।
বোলিংয়ে নামার পর ব্রেক থ্রু পেতে সময় লাগেনি ভারতের। উসমান খোয়াজাকে শূন্য রানে সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সিরাজ। লাঞ্চে যাওয়ার আগে দলীয় ৭১ রানে ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরান শার্দূল ঠাকুর। দারুণ শুরু পেলেও মাঝপথে খেই হারিয়ে ৪৩ রানে আউট হন ওয়ার্নার। খোয়াজার মতো তিনিও ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
লাঞ্চ থেকে ফেরার দ্বিতীয় ওভারে মার্নাস লাবুশেনের উইকেটটিও তুলে নেয় ভারত। ২৬ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটারের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন মোহাম্মদ শামি। ৭৬ রানে ৩ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া তখন কিছুটা চাপেই বলা যায়। কিন্তু সেটার থোড়াই কেয়ার করলেন হেড। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে গত অ্যাশেজ মাতানো এই ব্যাটার রানের খাতাটা খোলেন চার মেরে। এরপর আর পেছনে ফেরে তাকাতে হয়নি। স্মিথের সঙ্গে জুটি বেঁধে শাসন করতে থাকেন ভারতীয় বোলারদের। ১০৬ বলে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। একইসঙ্গে দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি করা ব্যাটার তিনি।
এক প্রান্তে হেড যখন আগ্রাসী, তখন অপর প্রান্ত নিজের মতো করে আগলে রাখেন স্মিথ। দুর্বলতার কোনো ছাপ ছিল না তার ব্যাটে। ওভালে খেলা হলেই জ্বলে ওঠেন তিনি। তাই তো ৩১তম সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থেকে চতুর্থ উইকেটে হেডের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিটি টেনে নেন ২৫১ রানে। পুরোনো বলের মতো দিনের শেষলগ্নে নতুন বলেও নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করেন এই দুই ব্যাটার। হলফ করে বলা যায়, দ্বিতীয় দিনেও সেটা ধরে রাখতে চাইবেন তারা।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১১৩১ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২৩
এএইচএস